ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে সামরিক খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তুরস্ক

শিগগিরই জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের সাথে। কমিশনের বৈঠকে খাদ্য থেকে শিল্প, স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা ও বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশে এনার্জি, ইন্ডাস্ট্রি, অবকাঠামো ও সামরিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক। বর্তমানে তুরস্কে বাণিজ্য রফতানি ২০ ভাগ বেড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. প্রফেসর ওমর বোলাতের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, তুরস্কের একটা বড় টিম আজকে এসেছিল। খাদ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা, ফার্মাসিটিক্যালস, টেক্সটাইল, গার্মেন্ট শিল্প কারখানা, রফতানি, বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের একটা জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আছে। তাদের সাথে একটা বৈঠক এ বছরই হওয়ার বিষয়ে সময় নির্ধারণ করা আছে। মিটিংটা আমরা অতি দ্রুত করতে চাই। আজকের মিটিং যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতাগুলোকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারি সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমাদের আলোচনা হয়েছে।

তুরস্ক কোন কোন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, তারা আমাদের জ্বালানি খাত, শিল্পায়নের জন্য মেশিনারি, ইন্ডাস্ট্রি খাত এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা তুরস্কে রফতানি করি ৫০ কোটি ডলার, বিপরীতে আমদানি করি ৪৫ কোটি ডলারের পণ্য। আমরা একটু বেশি রফতানি করি, সে তুলনায় আমদানি কম হয়। গত বছর তুরস্কে রফতানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটির মতো। জনসংখ্যার ভিত্তিতে আমাদের এই বাণিজ্যটা যথেষ্ট বলে মনে করি না। সেটা আরো বহুগুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভবনাগুলো অর্জনের জন্য খাতগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করেছি। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে ফাংশনাল স্ট্যাটেজিগুলো তৈরি করবো।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আছে। এ পর্যন্ত তারা ৩০ কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ করেছে। তারা এলপিজি, সিঙ্গার, কোককোলা, সেবাখাতসহ উৎপাদনশীল খাতেও বিনিয়োগ করেছে।

সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানায়, তারা জানিয়েছেন তুরস্কের সামরিক রফতানি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের। তারা উপযুক্ত এবং যুতসই সামরিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। তারা এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে, আমরাও এ বিষয়ে আগ্রহী।

তারা অস্ত্র রফতানি করতে চায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, তারা আর্মসও রফতানি করতে চায়। কিন্তু আমরা শুধু বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে বিস্তারিত আসবে।
তুরস্কে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এ দিকে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে এটা সাময়িক বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের প্রস্তুতি কেমন- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, রমজান নিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবেই প্রস্তুত। এই মুহূর্তে চালের বাজার নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আমদানি উদারীকরণ করেছি। চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল,থ সেটা আমরা ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এই মুহূর্তে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েক লাখ টন চাল সরাসরি আমদানি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে হচ্ছে, ভারত থেকে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান আসবে। আমরা আশা করি যে, এখন থেকে এপ্রিল অর্থাৎ আগামী তিন মাস বাজারে যে একটা সাময়িক অবস্থা তৈরি হয়েছে, আশা করি ইনশা আল্লাহ সেটা ঠিক হয়ে যাবে।

এখন আমনের ভরা মৌসুম কিন্তু চালের দাম বেড়ে গেছে আগে শুনতাম সিন্ডিকেট, এখন আগের জায়গায় নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে কি না; আপনারা কতখানি বাজার মনিটরিং করবেন- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সাংবাদিক হিসেবে যদি আমাদের (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে দেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। আমাদের নিজস্ব তথ্য-উপাত্ত বলছে দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের সরকারি মজুদে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরেও প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে আমরা যে ব্যত্যয়টা চালের বাজারে দেখছি, সেটাকে হ্যান্ডেল করার জন্য আমদানিকে আরো বেশি উদার করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি আমদানি শুরু হলে কেউ অন্যায্যভাবে মজুদ করলেও তা বাজারে ছাড়তে বাধ্য হবে এবং দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।

এ সময় তো সিন্ডিকেট বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিশ্চিতভাবেই হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। আমার কাছে মনে হচ্ছে সময়টা সাময়িক। কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই যে, সেটাতে সুইচ দিলে আগামীকাল বাজার ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, টিসিবি দিয়ে যে চাল বিক্রি করা হয়, সেটি আমরা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করছি। আমরা বাজারে চালের সরবরাহ বাড়িয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারকে কম দামে চাল দেয়া হয়, সেটা শুরু হচ্ছে। টিসিবি স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারকে এ সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল দেয়া শুরু করবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে সামরিক খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী তুরস্ক

আপডেট সময় ০৮:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

শিগগিরই জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তুরস্কের সাথে। কমিশনের বৈঠকে খাদ্য থেকে শিল্প, স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা ও বিনিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশে এনার্জি, ইন্ডাস্ট্রি, অবকাঠামো ও সামরিক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী তুরস্ক। বর্তমানে তুরস্কে বাণিজ্য রফতানি ২০ ভাগ বেড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ড. প্রফেসর ওমর বোলাতের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, তুরস্কের একটা বড় টিম আজকে এসেছিল। খাদ্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিল্পকারখানা, ফার্মাসিটিক্যালস, টেক্সটাইল, গার্মেন্ট শিল্প কারখানা, রফতানি, বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের একটা জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন আছে। তাদের সাথে একটা বৈঠক এ বছরই হওয়ার বিষয়ে সময় নির্ধারণ করা আছে। মিটিংটা আমরা অতি দ্রুত করতে চাই। আজকের মিটিং যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতাগুলোকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারি সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমাদের আলোচনা হয়েছে।

তুরস্ক কোন কোন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, তারা আমাদের জ্বালানি খাত, শিল্পায়নের জন্য মেশিনারি, ইন্ডাস্ট্রি খাত এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা তুরস্কে রফতানি করি ৫০ কোটি ডলার, বিপরীতে আমদানি করি ৪৫ কোটি ডলারের পণ্য। আমরা একটু বেশি রফতানি করি, সে তুলনায় আমদানি কম হয়। গত বছর তুরস্কে রফতানি ৩০ শতাংশ বেড়েছে। তুরস্ক ও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটির মতো। জনসংখ্যার ভিত্তিতে আমাদের এই বাণিজ্যটা যথেষ্ট বলে মনে করি না। সেটা আরো বহুগুণ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভবনাগুলো অর্জনের জন্য খাতগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ে চিহ্নিত করেছি। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে ফাংশনাল স্ট্যাটেজিগুলো তৈরি করবো।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ আছে। এ পর্যন্ত তারা ৩০ কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ করেছে। তারা এলপিজি, সিঙ্গার, কোককোলা, সেবাখাতসহ উৎপাদনশীল খাতেও বিনিয়োগ করেছে।

সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানায়, তারা জানিয়েছেন তুরস্কের সামরিক রফতানি প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের। তারা উপযুক্ত এবং যুতসই সামরিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। তারা এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে, আমরাও এ বিষয়ে আগ্রহী।

তারা অস্ত্র রফতানি করতে চায় কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, তারা আর্মসও রফতানি করতে চায়। কিন্তু আমরা শুধু বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনে বিস্তারিত আসবে।
তুরস্কে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এ দিকে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে এটা সাময়িক বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের প্রস্তুতি কেমন- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, রমজান নিয়ে আমরা সামগ্রিকভাবেই প্রস্তুত। এই মুহূর্তে চালের বাজার নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা আমদানি উদারীকরণ করেছি। চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রায় ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল,থ সেটা আমরা ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এই মুহূর্তে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েক লাখ টন চাল সরাসরি আমদানি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে হচ্ছে, ভারত থেকে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান আসবে। আমরা আশা করি যে, এখন থেকে এপ্রিল অর্থাৎ আগামী তিন মাস বাজারে যে একটা সাময়িক অবস্থা তৈরি হয়েছে, আশা করি ইনশা আল্লাহ সেটা ঠিক হয়ে যাবে।

এখন আমনের ভরা মৌসুম কিন্তু চালের দাম বেড়ে গেছে আগে শুনতাম সিন্ডিকেট, এখন আগের জায়গায় নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে কি না; আপনারা কতখানি বাজার মনিটরিং করবেন- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সাংবাদিক হিসেবে যদি আমাদের (সিন্ডিকেট) চিহ্নিত করে দেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। আমাদের নিজস্ব তথ্য-উপাত্ত বলছে দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের সরকারি মজুদে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরেও প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে আমরা যে ব্যত্যয়টা চালের বাজারে দেখছি, সেটাকে হ্যান্ডেল করার জন্য আমদানিকে আরো বেশি উদার করেছি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি আমদানি শুরু হলে কেউ অন্যায্যভাবে মজুদ করলেও তা বাজারে ছাড়তে বাধ্য হবে এবং দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।

এ সময় তো সিন্ডিকেট বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা উঠিয়ে নিচ্ছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিশ্চিতভাবেই হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। আমার কাছে মনে হচ্ছে সময়টা সাময়িক। কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই যে, সেটাতে সুইচ দিলে আগামীকাল বাজার ঠিক হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, টিসিবি দিয়ে যে চাল বিক্রি করা হয়, সেটি আমরা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করছি। আমরা বাজারে চালের সরবরাহ বাড়িয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারকে কম দামে চাল দেয়া হয়, সেটা শুরু হচ্ছে। টিসিবি স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারকে এ সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল দেয়া শুরু করবে।