ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভুলবশত একটি ম্যাগাজিন ব্যাগে ছিল: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo ব্যক্তি পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে যে যোগ্যতা লাগে Logo সব প্রস্তাবে একমত হতে বললে আলোচনার জন্য ‘ডাকা হলো’ কেন: সালাহউদ্দিন Logo বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার Logo সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৯ জুলাই জামায়াতের সমাবেশ Logo চবিতে ৭ দফা দাবিতে শিবিরের সংবাদ সম্মেলন Logo দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্সে রেকর্ড, ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার Logo ৫ আগস্টের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি- এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের Logo মুরাদনগরে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন একজন উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল Logo সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজের একদিন পর অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল

শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসান ও কামরুল ইসলাম। ২৬ রান ডিফেন্ড করতে বরিশাল বল তুলে দিল কাইল মায়ার্সের হাতে। পার্টটাইম বোলার হলেও ১ ওভারে ২৬ রান নেওয়া যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই বেশ কঠিন।

নুরুল সেই কঠিন কাজটাই করলেন। বাউন্ডারি মারলেন শেষ ওভারের প্রতিটি বলে। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে তুললেন ৩০ রান। তার ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকল রংপুর। জিতল টানা ৬ ম্যাচে।

অথচ শেষ ওভারের আরও আগে থেকে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বরিশাল। ৩ ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন—এমন সময় বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে যান বরিশালের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আউট করেন ইফতিখার আহমেদকে। কে জানত, ইফতিখারের আউটের পর যিনি ক্রিজে এসেছেন, সেই নুরুলই বরিশালের জয় ছিনিয়ে নেবেন!

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা রংপুর শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে পিছিয়েই ছিল। বিশেষ করে প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪১ রানই তুলতে পারে দলটি। ফলে শেষ ১৩ ওভারে রংপুরের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৫৭ রানের। রংপুর এই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে যায় দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহর ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটিতে। ইফতিখার ও খুশদিল—দুজনই করেন ৪৮ রান করে।

তবে ইফতিখার ১৮তম ওভারে যখন আউট হন, ম্যাচ অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে বরিশালের দিকে। শেষ ২ ওভারে ৩৯ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলেই ছক্কা মারেন খুশদিল।

কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে পরের বলে তিনি আউট হয়ে ফিরলে শেষ ৩ বলে ৩ রানই নিতে পারে রংপুর। এর মধ্যে ঘটে আবার অন্য নাটক। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের আইনে আউট হন মেহেদী হাসান। এত কিছুর পর নুরুলের অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। সেটাই তিনি করলেন।

এর আগে বরিশালের রানটা যে ১৯৭ হয়েছে, এতে বড় অবদান তাদের ইনিংসের শেষ ২ ওভারের। এই ২ ওভারে নাহিদ রানা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বিপক্ষে ৪৪ রান নেন মায়ার্স-ফাহিম। ২৭ বলে ফিফটি করা মায়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৬১ রানে।

ফাহিম করেন ৬ বলে ২০ রান। মায়ার্স-ফাহিমের আগে ১৮ বলে ২৩ করেছেন তাওহিদ হৃদয়। যা বরিশালের রানের চাকা সচল রাখে। আর বরিশালের শুরুটাও হয় দারুণ। নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল গড়েন ৬১ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তামিম করেছেন ৩৪ বলে ৪০। নাজমুল করেছেন ৪১ রান, ৩০ বলে। তামিম-নাজমুলের তৈরি করা মঞ্চেই পরে ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স-ফাহিমরা। শেষ পর্যন্ত সেটিও যথেষ্ট হয়নি নুরুলের ঝড়ের কারণে!

ট্যাগস :

ভুলবশত একটি ম্যাগাজিন ব্যাগে ছিল: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল

আপডেট সময় ০৬:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসান ও কামরুল ইসলাম। ২৬ রান ডিফেন্ড করতে বরিশাল বল তুলে দিল কাইল মায়ার্সের হাতে। পার্টটাইম বোলার হলেও ১ ওভারে ২৬ রান নেওয়া যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই বেশ কঠিন।

নুরুল সেই কঠিন কাজটাই করলেন। বাউন্ডারি মারলেন শেষ ওভারের প্রতিটি বলে। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে তুললেন ৩০ রান। তার ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকল রংপুর। জিতল টানা ৬ ম্যাচে।

অথচ শেষ ওভারের আরও আগে থেকে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বরিশাল। ৩ ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন—এমন সময় বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে যান বরিশালের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আউট করেন ইফতিখার আহমেদকে। কে জানত, ইফতিখারের আউটের পর যিনি ক্রিজে এসেছেন, সেই নুরুলই বরিশালের জয় ছিনিয়ে নেবেন!

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা রংপুর শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে পিছিয়েই ছিল। বিশেষ করে প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪১ রানই তুলতে পারে দলটি। ফলে শেষ ১৩ ওভারে রংপুরের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৫৭ রানের। রংপুর এই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে যায় দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহর ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটিতে। ইফতিখার ও খুশদিল—দুজনই করেন ৪৮ রান করে।

তবে ইফতিখার ১৮তম ওভারে যখন আউট হন, ম্যাচ অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে বরিশালের দিকে। শেষ ২ ওভারে ৩৯ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলেই ছক্কা মারেন খুশদিল।

কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে পরের বলে তিনি আউট হয়ে ফিরলে শেষ ৩ বলে ৩ রানই নিতে পারে রংপুর। এর মধ্যে ঘটে আবার অন্য নাটক। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের আইনে আউট হন মেহেদী হাসান। এত কিছুর পর নুরুলের অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। সেটাই তিনি করলেন।

এর আগে বরিশালের রানটা যে ১৯৭ হয়েছে, এতে বড় অবদান তাদের ইনিংসের শেষ ২ ওভারের। এই ২ ওভারে নাহিদ রানা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বিপক্ষে ৪৪ রান নেন মায়ার্স-ফাহিম। ২৭ বলে ফিফটি করা মায়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৬১ রানে।

ফাহিম করেন ৬ বলে ২০ রান। মায়ার্স-ফাহিমের আগে ১৮ বলে ২৩ করেছেন তাওহিদ হৃদয়। যা বরিশালের রানের চাকা সচল রাখে। আর বরিশালের শুরুটাও হয় দারুণ। নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল গড়েন ৬১ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তামিম করেছেন ৩৪ বলে ৪০। নাজমুল করেছেন ৪১ রান, ৩০ বলে। তামিম-নাজমুলের তৈরি করা মঞ্চেই পরে ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স-ফাহিমরা। শেষ পর্যন্ত সেটিও যথেষ্ট হয়নি নুরুলের ঝড়ের কারণে!