ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফোন করে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান Logo অব্যাহতি পেল সেই কিশোর ফাইয়াজ, সংশোধিত আইনে প্রথম আদেশ Logo জামায়াত আমিরের চিকিৎসার জন্য যে কোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী Logo জামায়াত কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র Logo আইনশৃঙ্খলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo হারানো বিজ্ঞপ্তি:২ দিন ধরে নিখোঁজ সাদ মুহাম্মদ সাব্বির Logo ২৯শে জুলাই ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোট হতে পারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে Logo গুলিবিদ্ধ হয়েও থামেনি সংগ্রাম: জামায়াতের সমাবেশে দৃঢ়চেতা তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র জুনাইদ Logo আগামী ৩ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ Logo পল্লবীতে বাসে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল

শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসান ও কামরুল ইসলাম। ২৬ রান ডিফেন্ড করতে বরিশাল বল তুলে দিল কাইল মায়ার্সের হাতে। পার্টটাইম বোলার হলেও ১ ওভারে ২৬ রান নেওয়া যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই বেশ কঠিন।

নুরুল সেই কঠিন কাজটাই করলেন। বাউন্ডারি মারলেন শেষ ওভারের প্রতিটি বলে। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে তুললেন ৩০ রান। তার ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকল রংপুর। জিতল টানা ৬ ম্যাচে।

অথচ শেষ ওভারের আরও আগে থেকে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বরিশাল। ৩ ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন—এমন সময় বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে যান বরিশালের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আউট করেন ইফতিখার আহমেদকে। কে জানত, ইফতিখারের আউটের পর যিনি ক্রিজে এসেছেন, সেই নুরুলই বরিশালের জয় ছিনিয়ে নেবেন!

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা রংপুর শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে পিছিয়েই ছিল। বিশেষ করে প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪১ রানই তুলতে পারে দলটি। ফলে শেষ ১৩ ওভারে রংপুরের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৫৭ রানের। রংপুর এই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে যায় দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহর ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটিতে। ইফতিখার ও খুশদিল—দুজনই করেন ৪৮ রান করে।

তবে ইফতিখার ১৮তম ওভারে যখন আউট হন, ম্যাচ অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে বরিশালের দিকে। শেষ ২ ওভারে ৩৯ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলেই ছক্কা মারেন খুশদিল।

কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে পরের বলে তিনি আউট হয়ে ফিরলে শেষ ৩ বলে ৩ রানই নিতে পারে রংপুর। এর মধ্যে ঘটে আবার অন্য নাটক। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের আইনে আউট হন মেহেদী হাসান। এত কিছুর পর নুরুলের অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। সেটাই তিনি করলেন।

এর আগে বরিশালের রানটা যে ১৯৭ হয়েছে, এতে বড় অবদান তাদের ইনিংসের শেষ ২ ওভারের। এই ২ ওভারে নাহিদ রানা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বিপক্ষে ৪৪ রান নেন মায়ার্স-ফাহিম। ২৭ বলে ফিফটি করা মায়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৬১ রানে।

ফাহিম করেন ৬ বলে ২০ রান। মায়ার্স-ফাহিমের আগে ১৮ বলে ২৩ করেছেন তাওহিদ হৃদয়। যা বরিশালের রানের চাকা সচল রাখে। আর বরিশালের শুরুটাও হয় দারুণ। নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল গড়েন ৬১ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তামিম করেছেন ৩৪ বলে ৪০। নাজমুল করেছেন ৪১ রান, ৩০ বলে। তামিম-নাজমুলের তৈরি করা মঞ্চেই পরে ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স-ফাহিমরা। শেষ পর্যন্ত সেটিও যথেষ্ট হয়নি নুরুলের ঝড়ের কারণে!

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফোন করে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল

আপডেট সময় ০৬:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬ রান। উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসান ও কামরুল ইসলাম। ২৬ রান ডিফেন্ড করতে বরিশাল বল তুলে দিল কাইল মায়ার্সের হাতে। পার্টটাইম বোলার হলেও ১ ওভারে ২৬ রান নেওয়া যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই বেশ কঠিন।

নুরুল সেই কঠিন কাজটাই করলেন। বাউন্ডারি মারলেন শেষ ওভারের প্রতিটি বলে। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে তুললেন ৩০ রান। তার ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকল রংপুর। জিতল টানা ৬ ম্যাচে।

অথচ শেষ ওভারের আরও আগে থেকে জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বরিশাল। ৩ ওভারে ৪২ রান প্রয়োজন—এমন সময় বোলিংয়ে এসে মাত্র ৩ রান দিয়ে যান বরিশালের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আউট করেন ইফতিখার আহমেদকে। কে জানত, ইফতিখারের আউটের পর যিনি ক্রিজে এসেছেন, সেই নুরুলই বরিশালের জয় ছিনিয়ে নেবেন!

১৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা রংপুর শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে পিছিয়েই ছিল। বিশেষ করে প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৪১ রানই তুলতে পারে দলটি। ফলে শেষ ১৩ ওভারে রংপুরের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৫৭ রানের। রংপুর এই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে যায় দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহর ৫৩ বলে ৯১ রানের জুটিতে। ইফতিখার ও খুশদিল—দুজনই করেন ৪৮ রান করে।

তবে ইফতিখার ১৮তম ওভারে যখন আউট হন, ম্যাচ অনেকটাই ঝুঁকে পড়ে বরিশালের দিকে। শেষ ২ ওভারে ৩৯ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ১৯তম ওভারের প্রথম ২ বলেই ছক্কা মারেন খুশদিল।

কিন্তু ছক্কা মারতে গিয়ে পরের বলে তিনি আউট হয়ে ফিরলে শেষ ৩ বলে ৩ রানই নিতে পারে রংপুর। এর মধ্যে ঘটে আবার অন্য নাটক। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের আইনে আউট হন মেহেদী হাসান। এত কিছুর পর নুরুলের অবিশ্বাস্য কিছুই করতে হতো। সেটাই তিনি করলেন।

এর আগে বরিশালের রানটা যে ১৯৭ হয়েছে, এতে বড় অবদান তাদের ইনিংসের শেষ ২ ওভারের। এই ২ ওভারে নাহিদ রানা ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বিপক্ষে ৪৪ রান নেন মায়ার্স-ফাহিম। ২৭ বলে ফিফটি করা মায়ার্স শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৬১ রানে।

ফাহিম করেন ৬ বলে ২০ রান। মায়ার্স-ফাহিমের আগে ১৮ বলে ২৩ করেছেন তাওহিদ হৃদয়। যা বরিশালের রানের চাকা সচল রাখে। আর বরিশালের শুরুটাও হয় দারুণ। নাজমুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল গড়েন ৬১ বলে ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তামিম করেছেন ৩৪ বলে ৪০। নাজমুল করেছেন ৪১ রান, ৩০ বলে। তামিম-নাজমুলের তৈরি করা মঞ্চেই পরে ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স-ফাহিমরা। শেষ পর্যন্ত সেটিও যথেষ্ট হয়নি নুরুলের ঝড়ের কারণে!