বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তার বাসভবন ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাদের নেত্রীকে বিদায় জানান। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে নেতাকর্মীদের বিপুল ভিড়ের কারণে বহরটি এখনও বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পুরো রাস্তা জুড়েই হাজারো নেতাকর্মীর মানবঢাল তৈরি করেছে।
বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আক্রোশ থেকে প্রিয় নেত্রী এখন মুক্ত বাতাসে। কিন্তু মুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত সরাসরি উনার চেহারাটা আমার দেখা হয়নি।
তাই বিকেল থেকেই বাসার সামনে অবস্থান করছি। চিকিৎসা শেষে খুব দ্রুতই আবার আমাদের মাঝে ফিরবেন বলে আশা রাখছি।’
খায়রুল ইসলাম নামক আরেক নেতা বলেন, ‘নেত্রী বিমানবন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি। আশা করব, তিনি দ্রুতই চিকিৎসা শেষে আবার ফিরে আসবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
’
আজ রাত ১০টার দিকে লন্ডনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন খালেদা জিয়াসহ তার সফরসঙ্গীরা। তাকে নিতে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-দোহা এবং দোহা থেকে লন্ডনের হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাঈদ ইস্কান্দারের সহধর্মিণী নাসরিন ইস্কান্দারসহ আত্মীয়-স্বজনরা বিদায় জানান।
লন্ডনে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং পরিবারের সদস্যরা। অর্ধ যুগের বেশি সময় পর দেখা হবে মা ও ছেলের।
বিমানবন্দরের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে।