সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ হয়েছে অবরোধ। গত সপ্তাহে ৩দিন টানা অবরোধ করেছে বিএনপি। তবে বিএনপি ঘোষণা দিলেও একে একে তাদের সমমনা দলগুলোও একই কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই আন্দোলন যখন ডালপালা গজাতে শুরু করেছে ঠিক তখনি নেতৃত্ব পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। প্রাথমিক পর্যায়ে এর গণ্ডি ঢাকা মহানগর উত্তরের পাশাপাশি আরও চারটি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তবে এর গণ্ডি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে দলটির মধ্যে।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন এ সিদ্ধান্ত দলকে অনেক গতিশীল করবে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির মত ভিন্ন। তারা বলছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি জানায়, সাংগঠনিক বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বশীল নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ায় তাদের স্থানে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক কারাগারে থাকায় ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল গ্রেপ্তার হওয়ায় সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে।
এছাড়া গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল গ্রেপ্তার হওয়ায় ১ম যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু গ্রেপ্তার হওয়ায় ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজুকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন গ্রেপ্তার হওয়ায় সদস্য আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব করা হয়েছে।
নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আরও তিনটি জেলায় ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।