দেশজুড়ে আবারও হাড়কাঁপানো শীত আসছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার চাদরও উড়ে আসতে শুরু করেছে। আগামীকাল বুধবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দিন বিরতির পর দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এরই মধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শৈত্যপ্রবাহের তাপমাত্রা নেমে এসেছে। আগামী এক সপ্তাহ দেশজুড়ে শীত বাড়তে পারে ও শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
এদিকে গত কয়েক দিন রাজধানীর তাপমাত্রা প্রতিদিন ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। ফলে দিনে শীতের অনুভূতি কমেছে। আগামী পাঁচ–ছয় দিন তাপমাত্রা আবারও ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকতে পারে। দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না–ও পাওয়া যেতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে। আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি হতে পারে চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের নিম্নমুখী অংশ উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় পর্বতের কাশ্মীর এলাকা থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে। এই হিমেল বাতাসের প্রবাহ ভারতের মধ্য ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো পেরিয়ে পূর্ব দিকে আসছে। আগামীকাল সকাল থেকে তা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হতে পারে। ফলে আগামীকাল সকাল থেকে আবারও দেশের ওপর দিয়ে কুয়াশাযুক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু করবে।
দেশের যেসব এলাকায় আসন্ন শৈত্যপ্রবাহের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে, সে বিষয়ে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহটি রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। ফলে উত্তরাঞ্চল ছাড়াও যশোর ও চুয়াডাঙ্গা থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগেও শীতের তীব্রতা বেশি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। অর্থাৎ শীত প্রায় বিদায় নেওয়ার মতো আবহাওয়া দেখা দেয়। দেশের অন্যান্য জেলায়ও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিল।