ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ Logo ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: ধন্যবাদ ও ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রধান উপদেষ্টার Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল Logo কুমিল্লার সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার Logo রুয়েটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরিজ্ঞান সভা অনুষ্ঠিত Logo ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার দুদিনব্যাপী কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত Logo দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ছুটি ১৯ দিন Logo ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo সব ফ্লাইটের জন্য আকাশপথ উন্মুক্ত করা হয়েছে: পাকিস্তান

আজ ফেলানী হত্যা দিবস

ফেলানী

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি )কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার চতুর্দশ বার্ষিকী । কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ঠান্ডা মাথায় ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। দীর্ঘক্ষণ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানীর মরদেহ।

সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রহসনের বিচার করা হয়।

ফেলানী হত্যার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফকে একটি ‘খুনি বাহিনী’ হিসেবে অভিহিত করে। বিশ্বজুড়ে প্রচার হয় প্রতিষ্ঠিত বিএসএফ একটি বর্বর বাহিনী। এই বাহিনী এর আগেও বহু নারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে একের পর এক সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলেও টুঁ শব্দটি করেনি শেখ হাসিনা সরকার। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সীমান্ত হত্যা নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কড়া সমালোচনা করলেও হত্যা বন্ধ হয়নি। ৫ আগস্টের পরও বিএসএফের হাতে সীমান্তে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত

আজ ফেলানী হত্যা দিবস

আপডেট সময় ০৯:২৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি )কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার চতুর্দশ বার্ষিকী । কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ঠান্ডা মাথায় ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে। দীর্ঘক্ষণ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে ফেলানীর মরদেহ।

সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রহসনের বিচার করা হয়।

ফেলানী হত্যার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফকে একটি ‘খুনি বাহিনী’ হিসেবে অভিহিত করে। বিশ্বজুড়ে প্রচার হয় প্রতিষ্ঠিত বিএসএফ একটি বর্বর বাহিনী। এই বাহিনী এর আগেও বহু নারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে একের পর এক সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলেও টুঁ শব্দটি করেনি শেখ হাসিনা সরকার। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সীমান্ত হত্যা নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কড়া সমালোচনা করলেও হত্যা বন্ধ হয়নি। ৫ আগস্টের পরও বিএসএফের হাতে সীমান্তে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।