ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ দেশে ফিরছেন ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিক

ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক দুই ফিশিং ট্রলারে থাকা ৭৮ জন জেলে-নাবিক মুক্ত হচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌঁছাবেন তারা। মুক্তি পাওয়ার পর বর্তমানে তারা সমুদ্রপথে চট্টগ্রামে আসার পথে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার জানায়, ‘দুই ফিশিং জাহাজে থাকা ৭৮ জন জেলে-নাবিকসহ মোট ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ৫ জানুয়ারি দুই দেশের পারস্পরিক প্রত্যাবাসনে এটা সম্পন্ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কারাগারে আটক থাকা ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও নৌকর্মীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি জেলে-নাবিকদের নিয়ে কোস্টগার্ড রওনা দিয়েছেন। আশা করছি, মঙ্গলবার সকালে তারা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ১৫ নম্বর কোস্টগার্ডের ঘাটে পৌঁছাবে। এরপর দুই ফিশিং ভ্যাসেলসহ নাবিকদের হস্তান্তর করা হবে।’

সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্র জানিয়েছে, ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিককে রবিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার হিরণ পয়েন্টে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদফতর নিশ্চিত করেছিল। আটক দুটি নৌযান হলো ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি গত ২৭ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ২০ ডিসেম্বর ঘাটে ফেরার কথা ছিল। ট্রলারটিতে ৪১ জন নাবিক-জেলে রয়েছেন। এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর সাগরে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এটিতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে আছেন।

ভারতীয় জলসীমায় মাছ শিকারের অভিযোগ এনে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে রাখা হয়। এ ছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। ওই নৌকায় থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরও অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, ‘দুই ফিশিং জাহাজে থাকা ৭৮ বাংলাদেশি নাবিক-জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে কোস্টগার্ড আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে।’

নগরের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার বাসিন্দা মো. আমির হোসেনের বলেন, ‘এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারে আমার ছেলে রিয়াজ ছিল। তার সঙ্গে সোমবার বিকালে আমার কথা হয়েছে। তারা চট্টগ্রামের দিকে আসছে বলে জানিয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য রিয়াজ সমুদ্রে যায়।

আজ দেশে ফিরছেন ভারতে আটক ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিক

আপডেট সময় ০৯:০০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক দুই ফিশিং ট্রলারে থাকা ৭৮ জন জেলে-নাবিক মুক্ত হচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌঁছাবেন তারা। মুক্তি পাওয়ার পর বর্তমানে তারা সমুদ্রপথে চট্টগ্রামে আসার পথে রয়েছেন।

চট্টগ্রাম সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের পরিচালক মো. আবদুস ছাত্তার জানায়, ‘দুই ফিশিং জাহাজে থাকা ৭৮ জন জেলে-নাবিকসহ মোট ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ৫ জানুয়ারি দুই দেশের পারস্পরিক প্রত্যাবাসনে এটা সম্পন্ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কারাগারে আটক থাকা ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও নৌকর্মীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশি জেলে-নাবিকদের নিয়ে কোস্টগার্ড রওনা দিয়েছেন। আশা করছি, মঙ্গলবার সকালে তারা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ১৫ নম্বর কোস্টগার্ডের ঘাটে পৌঁছাবে। এরপর দুই ফিশিং ভ্যাসেলসহ নাবিকদের হস্তান্তর করা হবে।’

সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্র জানিয়েছে, ৯০ বাংলাদেশি জেলে-নাবিককে রবিবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার হিরণ পয়েন্টে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদফতর নিশ্চিত করেছিল। আটক দুটি নৌযান হলো ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি গত ২৭ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ২০ ডিসেম্বর ঘাটে ফেরার কথা ছিল। ট্রলারটিতে ৪১ জন নাবিক-জেলে রয়েছেন। এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর সাগরে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এটিতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে আছেন।

ভারতীয় জলসীমায় মাছ শিকারের অভিযোগ এনে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে রাখা হয়। এ ছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। ওই নৌকায় থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরও অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, ‘দুই ফিশিং জাহাজে থাকা ৭৮ বাংলাদেশি নাবিক-জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ড তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে কোস্টগার্ড আমাদের কাছে হস্তান্তর করবে।’

নগরের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার বাসিন্দা মো. আমির হোসেনের বলেন, ‘এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারে আমার ছেলে রিয়াজ ছিল। তার সঙ্গে সোমবার বিকালে আমার কথা হয়েছে। তারা চট্টগ্রামের দিকে আসছে বলে জানিয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য রিয়াজ সমুদ্রে যায়।