ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির Logo ১০০০ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Logo কেরানীগঞ্জে আওয়ামী নেতা ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন গ্রেপ্তার Logo পাকিস্তান ৩০০-৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে: ভারত Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে’ Logo গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নোসক শিবিরের সহযোগিতা Logo এআই হ্যাকাথন ২০২৫: রুয়েটের ‘বুরাক’ টিমের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন Logo আমিরাতে আইপিএলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পিএসএল পেল অগ্রাধিকার Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

পদত্যাগ করেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।সোমবার(৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় নিজ বাসভবন রিডো কটেজে এক সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ট্রুডো বলেছেন, আমি মনে করি কানাডার জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে প্রকৃত পছন্দের নেতা খুঁজে বের করার দাবিদার।

তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, যদি আমাকে ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ লড়তে হয় তাহলে কানাডিয়ানদের জন্য ব্যালটে সেরা বিকল্প হতে পারবেন না। আমি অনেক ভেবেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমার পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

জনগণের উদ্দেশ্যে ট্রুডো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি আমার দেশ এবং আপনাদের জন্য লড়েছি। আমি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় আমার দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, তবে এখন দেশ এবং সময় পাল্টেছে। আমি মনে করি ‘নতুন সূচনা করার সময়’ এসেছে। তিনি বলেন, আশা করি আমার পদত্যাগ দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া উত্তাপ কমিয়ে আনবে। এমন একটি সরকার আসবে যারা কানাডার জনগণের সমস্যাগুলোর দিকে খেয়াল রাখবে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপের মুখে ছিলেন ট্রুডো। দেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে তার জনপ্রিয়তা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বিরোধীরা তো বটেই, তার নিজ দলের মধ্য থেকেও তার পদত্যাগের দাবি উঠছিল।

এরআগে কানাডার প্রধান সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানিয়েছিল, সোমবারের মধ্যেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতে পারেন ট্রুডো।

ট্রুডো ২০১৩ সালে কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন কানাডার লিবারেল দল ছিল গভীর সংকটে এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। তার নেতৃত্বে দলটি পুনরুজ্জীবিত হলেও, বর্তমান সময়ে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।

তবে ট্রুডোর পদত্যাগের পর লিবারেল পার্টি রাজনৈতিক মঞ্চে স্থায়ী নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত যখন নির্বাচনের আগে জরিপগুলোও বলছে, আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে ব্যাপকভাবে পরাজিত হতে পারে। এর ফলে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে তিনি অন্তর্বর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিনা। এক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এভাবে, ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। যা লিবারেল পার্টির ভবিষ্যতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির

পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

আপডেট সময় ০৭:৩৮:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

পদত্যাগ করেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।সোমবার(৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় নিজ বাসভবন রিডো কটেজে এক সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ট্রুডো বলেছেন, আমি মনে করি কানাডার জনগণ পরবর্তী নির্বাচনে প্রকৃত পছন্দের নেতা খুঁজে বের করার দাবিদার।

তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, যদি আমাকে ‘অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ’ লড়তে হয় তাহলে কানাডিয়ানদের জন্য ব্যালটে সেরা বিকল্প হতে পারবেন না। আমি অনেক ভেবেছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমার পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।

জনগণের উদ্দেশ্যে ট্রুডো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি আমার দেশ এবং আপনাদের জন্য লড়েছি। আমি দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় আমার দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, তবে এখন দেশ এবং সময় পাল্টেছে। আমি মনে করি ‘নতুন সূচনা করার সময়’ এসেছে। তিনি বলেন, আশা করি আমার পদত্যাগ দেশের রাজনীতিতে তৈরি হওয়া উত্তাপ কমিয়ে আনবে। এমন একটি সরকার আসবে যারা কানাডার জনগণের সমস্যাগুলোর দিকে খেয়াল রাখবে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক চাপের মুখে ছিলেন ট্রুডো। দেশের রাজনীতিতে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে তার জনপ্রিয়তা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বিরোধীরা তো বটেই, তার নিজ দলের মধ্য থেকেও তার পদত্যাগের দাবি উঠছিল।

এরআগে কানাডার প্রধান সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইল জানিয়েছিল, সোমবারের মধ্যেই পদত্যাগের কথা ঘোষণা করতে পারেন ট্রুডো।

ট্রুডো ২০১৩ সালে কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তখন কানাডার লিবারেল দল ছিল গভীর সংকটে এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। তার নেতৃত্বে দলটি পুনরুজ্জীবিত হলেও, বর্তমান সময়ে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।

তবে ট্রুডোর পদত্যাগের পর লিবারেল পার্টি রাজনৈতিক মঞ্চে স্থায়ী নেতৃত্ববিহীন অবস্থায় চলে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত যখন নির্বাচনের আগে জরিপগুলোও বলছে, আগামী অক্টোবরের নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে ব্যাপকভাবে পরাজিত হতে পারে। এর ফলে নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে তিনি অন্তর্বর্তী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক কিনা। এক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এভাবে, ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। যা লিবারেল পার্টির ভবিষ্যতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।