ঢাকা ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিয়ালিটি মাইনা নেন, হাসিনা আর ফিরবেন না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

রিয়ালিটি মাইনা নেন, হাসিনা আর ফিরবেন না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক ধরে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান শাসন ব্যবস্থা নেতৃত্বশূন্যতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই আন্দোলন ও বিপ্লব এখনও অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি। তবে আমরা সবার কাছে আবেদন জানাই, বাস্তবতাকে মেনে নিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আর বাংলার মাটিতে টিকে থাকার জায়গা নেই। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর প্রবর্তন, এবং ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই’ রেভল্যুশনের ভাবনার অন্তর্ভুক্তি।’

প্রবীণ রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বিভাজনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছি। আমাদের বিভাজনের রাজনীতির মধ্যে রেখে, জাতীয় ঐক্যে কখনো বসতে পারেননি।

পূর্বের রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতাকে আমরা তরুণ প্রজন্ম সম্মান জানাই। এই তরুণ প্রজন্মের যেই আত্মবিশ্বাস ও ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করার জন্য তাদের প্রত্যয়, আপনাদের প্রজ্ঞার সাথে তাদের এই প্রত্যয়ের যদি আপনারা সম্মেলন না ঘটাতে পারেন, তাহলে ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ব্যর্থ হবো। তাই আপনারা এই তরুণ প্রজন্মকে স্বীকৃতি দিন।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে ঢাকার ক্ষমতার চেয়ারে কে বসবে, সেটি নির্ধারণ হতো দিল্লি থেকে, আমাদের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে।

আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দিল্লি মুখি হতো। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই বাংলাদেশে ঢাকার মসনদে কে বসবে, সেটি দিল্লি থেকে নির্ধারিত হবে না বরং সীমান্তের মধ্যে সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ। দেশের জনগণই ঠিক করবে কে ঢাকার মসনদে বসবে। আপনারা দিল্লিমুখী না হয়ে দেশের জনগণমুখী হন।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, আশরেফা, ফরিদপুরের অন্যতম সমন্বয়ক সোহেল রানা, কাজী রিয়াজ, ফারহান আহসান অর্ণব, নাবিলা তালুকদার, তাহসিন হাসান দ্বীন, মাহমুদুল হাসান ওয়ালিদ, সানজিদা রহমান সমতা, জেবা তাহসিন, শাহ মো. আরাফাত প্রমুখ।

 

উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসায় সিক্ত সিক্ত খালেদা জিয়া

রিয়ালিটি মাইনা নেন, হাসিনা আর ফিরবেন না: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় ০৮:৩৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক ধরে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান শাসন ব্যবস্থা নেতৃত্বশূন্যতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই আন্দোলন ও বিপ্লব এখনও অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেনি। তবে আমরা সবার কাছে আবেদন জানাই, বাস্তবতাকে মেনে নিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আর বাংলার মাটিতে টিকে থাকার জায়গা নেই। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর প্রবর্তন, এবং ‘প্রোক্লেমেশন অব জুলাই’ রেভল্যুশনের ভাবনার অন্তর্ভুক্তি।’

প্রবীণ রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে বিভাজনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছি। আমাদের বিভাজনের রাজনীতির মধ্যে রেখে, জাতীয় ঐক্যে কখনো বসতে পারেননি।

পূর্বের রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতাকে আমরা তরুণ প্রজন্ম সম্মান জানাই। এই তরুণ প্রজন্মের যেই আত্মবিশ্বাস ও ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করার জন্য তাদের প্রত্যয়, আপনাদের প্রজ্ঞার সাথে তাদের এই প্রত্যয়ের যদি আপনারা সম্মেলন না ঘটাতে পারেন, তাহলে ২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা ব্যর্থ হবো। তাই আপনারা এই তরুণ প্রজন্মকে স্বীকৃতি দিন।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে ঢাকার ক্ষমতার চেয়ারে কে বসবে, সেটি নির্ধারণ হতো দিল্লি থেকে, আমাদের নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে।

আমরা দেখেছি নির্বাচনের আগে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দিল্লি মুখি হতো। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই বাংলাদেশে ঢাকার মসনদে কে বসবে, সেটি দিল্লি থেকে নির্ধারিত হবে না বরং সীমান্তের মধ্যে সেটি নির্ধারণ করবে জনগণ। দেশের জনগণই ঠিক করবে কে ঢাকার মসনদে বসবে। আপনারা দিল্লিমুখী না হয়ে দেশের জনগণমুখী হন।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম, আশরেফা, ফরিদপুরের অন্যতম সমন্বয়ক সোহেল রানা, কাজী রিয়াজ, ফারহান আহসান অর্ণব, নাবিলা তালুকদার, তাহসিন হাসান দ্বীন, মাহমুদুল হাসান ওয়ালিদ, সানজিদা রহমান সমতা, জেবা তাহসিন, শাহ মো. আরাফাত প্রমুখ।