ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে বাংলাদেশে’

‘ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে বাংলাদেশে’

ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে আর আমরা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের চিকিৎসা দিয়েছি। বাংলাদেশে আটক ভারতীয় মৎস্যজীবীরা দেশে ফেরার পর এমন অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার ভারতে ফেরা মৎজীবীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। সীমানা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কয়েকজনকে দেখলাম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। সবাই নয়, আমি বললাম খুঁড়িয়ে হাঁটছেন কেন? তাঁরা বলতে চাননি। জানতে পারলাম তাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের নিয়ে গিয়ে হাত দুটো দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। কয়েকজনের কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট। জামাকাপড় পরে আছে বলে বোঝা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা মানা করব আপনারা কখনও আমাদের সীমানার বাইরে যাবেন না। তাতে মাছ না উঠলে উঠবে। জীবন থাকলে অনেক মাছ পাবেন। এই যে দুমাস জেলে ছিলেন, পরিবারের কষ্ট হয়নি?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাস খানেক আগে বাংলাদেশি ট্রলার আমাদের এখানে চলে এসেছিল। তাদের আমরা ভালো করে রেখেছিলাম। তাদের চিকিত্সা করেছিলাম। তাদের ফেরতও দিয়েছি। দুদেশই মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাক আমরা চাই। ওদের ট্রলার আটকে ছিল, আমরা সাহায্য করলাম। যাতে দেশের কোনও বদনাম না হয়। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছিলাম। নিজেরাও কথা বলেছিলাম। রোজ আমরা খবর রাখতাম। তার পরেই দুদেশের মধ্যে একটা আদানপ্রদান হয়। বাংলাদেশের যারা ছিল তাদের আমরা হ্যান্ডওভার করে দিই। ওরাও আমাদের মত্সজীবীদের ফেরত দেয়।

উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসায় সিক্ত সিক্ত খালেদা জিয়া

‘ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে বাংলাদেশে’

আপডেট সময় ০৭:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতীয় মৎস্যজীবীদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে আর আমরা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের চিকিৎসা দিয়েছি। বাংলাদেশে আটক ভারতীয় মৎস্যজীবীরা দেশে ফেরার পর এমন অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার ভারতে ফেরা মৎজীবীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। সীমানা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কয়েকজনকে দেখলাম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। সবাই নয়, আমি বললাম খুঁড়িয়ে হাঁটছেন কেন? তাঁরা বলতে চাননি। জানতে পারলাম তাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের নিয়ে গিয়ে হাত দুটো দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাদের মোটা লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। কয়েকজনের কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট। জামাকাপড় পরে আছে বলে বোঝা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা মানা করব আপনারা কখনও আমাদের সীমানার বাইরে যাবেন না। তাতে মাছ না উঠলে উঠবে। জীবন থাকলে অনেক মাছ পাবেন। এই যে দুমাস জেলে ছিলেন, পরিবারের কষ্ট হয়নি?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাস খানেক আগে বাংলাদেশি ট্রলার আমাদের এখানে চলে এসেছিল। তাদের আমরা ভালো করে রেখেছিলাম। তাদের চিকিত্সা করেছিলাম। তাদের ফেরতও দিয়েছি। দুদেশই মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাক আমরা চাই। ওদের ট্রলার আটকে ছিল, আমরা সাহায্য করলাম। যাতে দেশের কোনও বদনাম না হয়। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছিলাম। নিজেরাও কথা বলেছিলাম। রোজ আমরা খবর রাখতাম। তার পরেই দুদেশের মধ্যে একটা আদানপ্রদান হয়। বাংলাদেশের যারা ছিল তাদের আমরা হ্যান্ডওভার করে দিই। ওরাও আমাদের মত্সজীবীদের ফেরত দেয়।