ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় সই Logo ছাত্রশিবির সম্পর্কে অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে -জাহিদুল ইসলাম Logo ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ল আরও এক মাস Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চলছে Logo রাবি ভিসির বাসভবনে শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রদল নেতার তালা Logo ইসি চাইলে ৩০০ আসনের ফল বাতিল করতে পারবে-ইসি সানাউল্লাহ Logo স্থলপথে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের Logo আবারও ‘না’ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়েছে: ইসি সানাউল্লাহ Logo চাঁদাবাজি-দখলবাজির সুস্পষ্ট অভিযোগে এক নেতার সব পদ স্থগিত করলো বিএনপি Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ

পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমাল ভারত

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় সরবরাহ বেড়েছে পণ্যটির। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। আগে টন প্রতি পেঁয়াজের নুন্যতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার থাকলেও বর্তমানে তা ১০০ মার্কিন ডলার কমিয়েছে ভারত। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

রবিবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজের নূন্যতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। নতুন এই রপ্তানি মূল্য সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা বন্দরের আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।

ভারতের হিলির সিএন্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার বলেন, এতদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য ছিল ৪০৫ মার্কিন ডলার। এর নিচে কোনো এলসি গ্রহণ করা হচ্ছিল না। এর মধ্যেই রপ্তানি মূল্য ১০০ ডলার কমিয়েছে ভারত সরকার। তবে রপ্তানি শুল্ক আগের মতই আছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সররবাহ স্বাভাবিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পণ্যটির আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে মাঝে ভারত সরকার নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করতে নূন্যতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছিল। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে ছিল।

সম্প্রতি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ উঠার ফলে পণ্যটির দাম কমেছে। পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাও কমে এসেছে। এর ফলে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকশান গুণতে হচ্ছিল আমদানিকারকদের। নূন্যতম রপ্তানি মূল্য কমানো হলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতে রপ্তানি শুল্ক দিতে হয় ১০ টাকার মত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানি মূল্য কমানোর কারণে বর্তমানে এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ৫০ হাজার রুপির মতো শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে এসব পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২ রুপি করে কমেছে। আগের চেয়ে কম মূল্যে এলসি খোলার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। আমদানি বাড়ার সাথে সাথে পেঁয়াজের দামও কমে আসবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক ও তিনটি নোট বিনিময় সই

পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য কমাল ভারত

আপডেট সময় ০৬:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় সরবরাহ বেড়েছে পণ্যটির। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। আগে টন প্রতি পেঁয়াজের নুন্যতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার থাকলেও বর্তমানে তা ১০০ মার্কিন ডলার কমিয়েছে ভারত। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার পাশাপাশি খুচরা পর্যায়ে দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

রবিবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজের নূন্যতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। নতুন এই রপ্তানি মূল্য সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা বন্দরের আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।

ভারতের হিলির সিএন্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার বলেন, এতদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্য ছিল ৪০৫ মার্কিন ডলার। এর নিচে কোনো এলসি গ্রহণ করা হচ্ছিল না। এর মধ্যেই রপ্তানি মূল্য ১০০ ডলার কমিয়েছে ভারত সরকার। তবে রপ্তানি শুল্ক আগের মতই আছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সররবাহ স্বাভাবিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পণ্যটির আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে মাঝে ভারত সরকার নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করতে নূন্যতম রপ্তানি মূল্য ৪০৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছিল। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে ছিল।

সম্প্রতি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ উঠার ফলে পণ্যটির দাম কমেছে। পাশাপাশি ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদাও কমে এসেছে। এর ফলে বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকশান গুণতে হচ্ছিল আমদানিকারকদের। নূন্যতম রপ্তানি মূল্য কমানো হলেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতে রপ্তানি শুল্ক দিতে হয় ১০ টাকার মত।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানি মূল্য কমানোর কারণে বর্তমানে এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ৫০ হাজার রুপির মতো শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে এসব পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২ রুপি করে কমেছে। আগের চেয়ে কম মূল্যে এলসি খোলার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। আমদানি বাড়ার সাথে সাথে পেঁয়াজের দামও কমে আসবে।