ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড় Logo সবার আগে ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া Logo মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা Logo ঈদে ফাঁকা ঢাকার সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, আহত এক হাজার ৬৭০ Logo প্রধান উপদেষ্টাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় Logo যমুনা সেতুতে চলতি বছর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড Logo আর্জেন্টিনার কাছে হারের জেরে দরিভালকে বরখাস্ত করল ব্রাজিল Logo দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন,সংস্কার আপনাদের কাজ না: আমীর খসরু Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, আহত ৭৩২ জন

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

না ফেরার দেশে চলে গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেতা প্রবীর মিত্র।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম।

গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র। এরইমধ্যে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর এদিন মৃত্যু হলো তার।

এর আগে তার অসুস্থতার ব্যাপারে ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম জানিয়েছিলেন, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রবীর মিত্রকে। শরীরে অক্সিজেন পাচ্ছিল না। পরে আইসিইউতে নেয়া হয়। তারপর কেবিনে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এইচডিইউতে রাখা হয়। কিন্তু তাতে কোনো অগ্রগতি ছিল না।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমার অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

১৯৮২ সালে তিনি ‘বড় ভাল লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড়

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

না ফেরার দেশে চলে গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেতা প্রবীর মিত্র।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম।

গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র। এরইমধ্যে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর এদিন মৃত্যু হলো তার।

এর আগে তার অসুস্থতার ব্যাপারে ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম জানিয়েছিলেন, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রবীর মিত্রকে। শরীরে অক্সিজেন পাচ্ছিল না। পরে আইসিইউতে নেয়া হয়। তারপর কেবিনে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এইচডিইউতে রাখা হয়। কিন্তু তাতে কোনো অগ্রগতি ছিল না।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমার অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

১৯৮২ সালে তিনি ‘বড় ভাল লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।