ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

না ফেরার দেশে চলে গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেতা প্রবীর মিত্র।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম।

গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র। এরইমধ্যে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর এদিন মৃত্যু হলো তার।

এর আগে তার অসুস্থতার ব্যাপারে ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম জানিয়েছিলেন, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রবীর মিত্রকে। শরীরে অক্সিজেন পাচ্ছিল না। পরে আইসিইউতে নেয়া হয়। তারপর কেবিনে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এইচডিইউতে রাখা হয়। কিন্তু তাতে কোনো অগ্রগতি ছিল না।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমার অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

১৯৮২ সালে তিনি ‘বড় ভাল লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

না ফেরার দেশে চলে গেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী অভিনেতা প্রবীর মিত্র।

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম।

গত কয়েক বছর ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র। এরইমধ্যে ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর এদিন মৃত্যু হলো তার।

এর আগে তার অসুস্থতার ব্যাপারে ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম জানিয়েছিলেন, গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে প্রবীর মিত্রকে। শরীরে অক্সিজেন পাচ্ছিল না। পরে আইসিইউতে নেয়া হয়। তারপর কেবিনে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এইচডিইউতে রাখা হয়। কিন্তু তাতে কোনো অগ্রগতি ছিল না।

১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমার অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

১৯৮২ সালে তিনি ‘বড় ভাল লোক ছিল’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।