ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সন্ত্রা/সবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান কারাগারে Logo ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য Logo ডাকসু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, নেই কোনো শঙ্কা Logo এবার ভিপি প্রার্থী শামীমের পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামীপন্থী অধ্যাপক আ ক ম জামাল Logo জামায়াত আমিরের সঙ্গে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ Logo “সরকারকে বলছি, শেখ হাসিনার পতন আর মুক্তিযোদ্ধার পতন এক কথা না” Logo ডাকসুতে ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলে আছেন যারা Logo ডাকসুতে ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলে আছেন যারা Logo ডাকসু নির্বাচনের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ: গোয়েন্দা সংস্থা Logo যেভাবে আইডি ফিরে পেলেন ভিপি প্রার্থী আবিদ

লন্ডনে টিউলিপের বোনকে বিনামূল্যে দেওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান

লন্ডনে টিউলিপের বোনকে বিনামূল্যে দেওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান

যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক (৪২) পরিবারের আরেকটি বিনামূল্যে পাওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। টিউলিপ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ট্রেজারি) অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, টিউলিপ উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের যে ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন, সেটি তার পরিবারকে দিয়েছেন খালা শেখ হাসিনার এক মিত্র। হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডের এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপের বোন আজমিনাকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। ফ্ল্যাটটি ২০০৯ সালে আজমিনাকে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গণি। তিনি শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি আছে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে বলা হয়েছে, আর্থিকমূল্য ছাড়াই ফ্ল্যাটটি আজমিনাকে দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট হস্তান্তরের সময় আজমিনার বয়স ছিল ১৮ বছর। তখন তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ ঠিক কখন ফ্ল্যাটটিতে উঠেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর টিউলিপ নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত করেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের ট্রাস্টি হওয়ার পর তিনি একই ঠিকানা ব্যবহার করেন। এছাড়া তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সি ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত এটিকে তার ঠিকানা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। তখন টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার এমপি ছিলেন।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যের আরেকটি সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিংস ক্রস এলাকার কাছে টিউলিপের আরেকটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এটি তাকে বিনা মূল্যে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সহযোগী।

হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটির বিষয়ে টিউলিপ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের এই ফ্ল্যাটটিতে বসবাস করেছিলেন, যা অনেক পরিবারের জন্য সাধারণ একটি বিষয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ত্রা/সবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান কারাগারে

লন্ডনে টিউলিপের বোনকে বিনামূল্যে দেওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান

আপডেট সময় ০৬:৫৮:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাজ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক (৪২) পরিবারের আরেকটি বিনামূল্যে পাওয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। টিউলিপ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ট্রেজারি) অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী (ইকোনমিক সেক্রেটারি)। তিনি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, টিউলিপ উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের যে ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন, সেটি তার পরিবারকে দিয়েছেন খালা শেখ হাসিনার এক মিত্র। হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডের এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপের বোন আজমিনাকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। ফ্ল্যাটটি ২০০৯ সালে আজমিনাকে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গণি। তিনি শেখ হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি আছে।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে বলা হয়েছে, আর্থিকমূল্য ছাড়াই ফ্ল্যাটটি আজমিনাকে দেওয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট হস্তান্তরের সময় আজমিনার বয়স ছিল ১৮ বছর। তখন তিনি অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ ঠিক কখন ফ্ল্যাটটিতে উঠেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর টিউলিপ নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত করেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের ট্রাস্টি হওয়ার পর তিনি একই ঠিকানা ব্যবহার করেন। এছাড়া তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সি ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত এটিকে তার ঠিকানা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন। তখন টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার এমপি ছিলেন।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যের আরেকটি সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কিংস ক্রস এলাকার কাছে টিউলিপের আরেকটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এটি তাকে বিনা মূল্যে দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সহযোগী।

হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটির বিষয়ে টিউলিপ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তার বোনের এই ফ্ল্যাটটিতে বসবাস করেছিলেন, যা অনেক পরিবারের জন্য সাধারণ একটি বিষয়।