ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু Logo নীলফামারীতে শিবিরের উদ্যোগে এসএসসি-দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo গ্রেড ও বেতন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর Logo মার্কিন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত Logo বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে পূর্ব তিমুরকে ৮ গোলে হারাল বাংলাদেশ Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চেয়ে জবি সাংবাদিক সমিতির মানববন্ধন Logo জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ Logo ফুটপাতে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির কয়েক টুকরো মরদেহ Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

নাটোরে যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

নাটোরে সড়ক থেকে পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। মাসুদ রানা লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগসোশা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। বিলমাড়িয়া বাজারে তাঁর প্রসাধনীর দোকান রয়েছে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মাসুদ রানা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাসুদ রানা বিলমাড়িয়া বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে অন্য একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাগসোশা গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি ওই মাইক্রোবাসের কাছাকাছি পৌঁছালে ছয় থেকে সাতজন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে থানায় যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাসে উঠতে বলেন। কারণ, জানতে চাইলে তাঁরা তাঁকে জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এ সময় তাঁর ডান পা ও ডান হাতের নিচের অংশ কুপিয়ে রগ কেটে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তাঁর মাথায়ও একটা ফোলা জখম রয়েছে। পরে তাঁকে সেখানে ফেলে রেখে মাইক্রোবাসটি চলে যায়।

পথচারীরা মাসুদ রানাকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর পকেটে থাকা মুঠোফোন থেকে স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান। তখন তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন মাসুদ রানাকে অপহরণের স্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর মহিলা কলেজের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। তখন পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল রাতে দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, মাসুদ রানার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও ডান হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মাথাতেও আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পুলিশের কেউ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এ ব্যাপারে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু

নাটোরে যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় ০১:৩১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

নাটোরে সড়ক থেকে পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে মাসুদ রানা (৩৫) নামের এক যুবদল নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। মাসুদ রানা লালপুরের বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের নাগসোশা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। বিলমাড়িয়া বাজারে তাঁর প্রসাধনীর দোকান রয়েছে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মাসুদ রানা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাসুদ রানা বিলমাড়িয়া বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে অন্য একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে নাগসোশা গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাজারের পশ্চিম পাশের সড়কে একটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে ছিল। তিনি ওই মাইক্রোবাসের কাছাকাছি পৌঁছালে ছয় থেকে সাতজন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে থানায় যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাসে উঠতে বলেন। কারণ, জানতে চাইলে তাঁরা তাঁকে জোর করে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এ সময় তাঁর ডান পা ও ডান হাতের নিচের অংশ কুপিয়ে রগ কেটে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। তাঁর মাথায়ও একটা ফোলা জখম রয়েছে। পরে তাঁকে সেখানে ফেলে রেখে মাইক্রোবাসটি চলে যায়।

পথচারীরা মাসুদ রানাকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর পকেটে থাকা মুঠোফোন থেকে স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিয়ে ঘটনাটি জানান। তখন তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন মাসুদ রানাকে অপহরণের স্থান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর মহিলা কলেজের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। তখন পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল রাতে দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, মাসুদ রানার ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ও ডান হাতে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মাথাতেও আঘাত ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল হোসেন বলেন, পুলিশের কেউ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারা ঘটিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এ ব্যাপারে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।