শুনতে অভাগ লাগলে কথাটি সত্য। ভারতে চলছে কুম্ভমেলা। আর প্রয়াগরাজে এই মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছেন হাজারো নাগা সন্ন্যাসী। নিজেদের শিবিরে ধুনো জ্বেলে জপ, তপ, ধ্যানে নিমগ্ন অনেকে।
এসবের মধ্যে এই বছর মহাকুম্ভের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন গঙ্গাপুরী মহারাজ, ওরফে ছোটু বাবা। তাকে দেখে কেউ ছবি তুলতে চাইছেন, কেউ থমকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন কিছুক্ষণ। তাকে দেখলেই অসংখ্য মানুষের ভিড় ঘিরে ধরছে আর তাই বেশিরভাগ সময় তিনি নিজের তাবুতে লুকিয়ে থাকছেন অথবা গঙ্গার তীরে নির্জনে সাধনা করছেন।
জুনা আখড়ার নাগা সাধক এই গঙ্গাপুরী মহারাজ নাগা সন্ন্যাসীদের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবময় আসামের কামাখ্যা পীঠের সঙ্গে যুক্ত। সবাই এই কুম্ভমেলায় পুণ্যার্জনের জন্য গঙ্গায় স্নান করত আসছেন, কিন্তু গঙ্গাপুরী মহারাজ এখানেও স্নান করবেন না।
চেহারায় পাঁচ-ছয় বছরের শিশুর মত দেখতে গঙ্গাপুরী মহারাজ দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে গোসল করেননি। তার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি, অর্থাৎ ৪ ফুটের কাছাকাছি। কিন্তু তার বয়স সাতান্ন বছর। তার এই কম উচ্চতার কারণে তাকে অনেকেই ছোটু বাবা বলে ডাকেন।
গঙ্গাপুরী মহারাজ নিজেই জানিয়েছেন তার এই কম উচ্চতা তার দুর্বলতা নয়, বরং শক্তি। এ কারণেই তাকে দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করেন।
একটি সংকল্পের কারণে তিনি ৩২ বছর ধরে গোসল করেননি। কিন্তু কী সেই সংকল্প, তা কাউকেই প্রকাশ করেননি তিনি।
গঙ্গাপুরী মহারাজ বলেন, তার সংকল্প পূর্ণ হলে প্রথমেই তিনি শিপ্রা নদীতে স্নান করবেন।
তিনি বলেন, শরীরের থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য নাগা সন্ন্যাসীদের থেকে দূরে নির্জনে তন্ত্র সাধনা করেন তিনি, অনেক সময় শ্মশানেও ধ্যান করেন ছোট বাবা।