ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই বাজারে

সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও বাজারে এখনো মাছের দাম চড়া। দুইশ টাকার নিচে নেই কোনো মাছ। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পাঙাশ আর তেলাপিয়া। তবে ইলিশের দাম বাড়তি। ৮০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর, রায়ের রাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর মাছের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ রয়েছে। সকালে ক্রেতাদের মাছ কিনতে দেখা যায়। কেউ কিনছেন পাঙাশ, কেউ কিনছেন তেলাপিয়া, আবার কেউ কিনছেন ইলিশ। নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে তাদের পছন্দের মাছ কিনতে দেখা গেছে। তবে বাজারে সবজির দাম কম হলেও মাছের বাজার অনেকটাই চড়া বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙাশ মাছ কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, বাইম ৮০০ টাকা, রুই মাছ আকৃতি ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ৪৫০ টাকা, ছোট কাতল ২৫০ টাকা, কার্প মাছ ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ কেজি ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে আকার ভেদে ৮০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৬০০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩ হাজার টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুণতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বাজার করতে আসা শামীম মিয়া জানান, এক কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। তেলাপিয়াও ২০০ টাকা। বাজারের সবচেয়ে কম দামি মাছ এই দুইটাই। রুই, কাতলা কিংবা টেংরার দিকে হাত দেওয়াই যায় না। সেগুলো নিলে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকার বাজেট লাগবে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা এত টাকা দিয়ে মাছ কিনে খেতে পারব না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই বাজারে

আপডেট সময় ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

সবজির দামে স্বস্তি ফিরলেও বাজারে এখনো মাছের দাম চড়া। দুইশ টাকার নিচে নেই কোনো মাছ। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পাঙাশ আর তেলাপিয়া। তবে ইলিশের দাম বাড়তি। ৮০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর, রায়ের রাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীর মাছের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ রয়েছে। সকালে ক্রেতাদের মাছ কিনতে দেখা যায়। কেউ কিনছেন পাঙাশ, কেউ কিনছেন তেলাপিয়া, আবার কেউ কিনছেন ইলিশ। নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী সবাইকে তাদের পছন্দের মাছ কিনতে দেখা গেছে। তবে বাজারে সবজির দাম কম হলেও মাছের বাজার অনেকটাই চড়া বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাঙাশ মাছ কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কৈ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ টাকা, বাইম ৮০০ টাকা, রুই মাছ আকৃতি ভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতল মাছ ৪৫০ টাকা, ছোট কাতল ২৫০ টাকা, কার্প মাছ ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ কেজি ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে আকার ভেদে ৮০০ টাকা, মলা মাছ ৩৫০ টাকা এবং শোল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি, টেংরা কেজি ৬০০ টাকা।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩ হাজার টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুণতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বাজার করতে আসা শামীম মিয়া জানান, এক কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। তেলাপিয়াও ২০০ টাকা। বাজারের সবচেয়ে কম দামি মাছ এই দুইটাই। রুই, কাতলা কিংবা টেংরার দিকে হাত দেওয়াই যায় না। সেগুলো নিলে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকার বাজেট লাগবে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা এত টাকা দিয়ে মাছ কিনে খেতে পারব না।