ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চবিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকে পেটাল ছাত্রদল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চবির কলা ঝুপড়ির পিছনে তাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মারধর করেন।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতার নাম শাফিকুর রহমান মেঘ বলে জানা গেছে। তিনি ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ক্যাম্পাসের উপগ্রুপ সিএফসির অনুসারী ছিলেন মেঘ।

সূত্রে জানা যায়, মেঘ তার চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলা অনুষদ থেকে বেরিয়ে জারুলতলার সামনে আসলে তার গতিরোধ করে কলা ঝুপড়ির পিছনে নিয়ে যায় ছাত্রদলের কর্মীরা। পরে সেখানে তাকে ছাত্রদলের কর্মীরা মারধর করে বলে জানা গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মেঘ অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। এসময় শাখা ছাত্রদল কর্মী প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ানসহ ছাত্রদলের অন্যান্য কর্মীদের তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ছাত্রলীগ নেতা মেঘকে উদ্ধার করে।

চবি শাখা ছাত্রদল কর্মী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ান নিজেকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে দাবি করে বলেন, ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা মেঘ আমার মোবাইল চেক করে ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততা পেয়ে গেস্ট রুমে নিয়ে মারধর করে। আমাকে মেরে এক পর্যায়ে হল থেকে বের করে দেয়।

শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ছাত্রলীগের নেতা আপন ইসলাম মেঘ আমাদের ছাত্রদল কর্মী রেদোয়ানকে মেরে হল থেকে বের করে দেয়। মেঘ ক্যাম্পাসে আসলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ। যেহেতু মেঘ নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত তাই নিষিদ্ধ কোন সংগঠনের কারোর সাথে আপোষ নেই।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল নোমান। এই ঘটনা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সামনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আমরা আশঙ্কা করছি তারা তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময়ে ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতি করার চেষ্টা করতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আওয়ামী লীগের আমলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচারে আমাদের অনেক কর্মীদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছে। তখন তারা পরীক্ষা দিতে আসতে পারেনি, ক্লাস করতে পারেনি। কিন্তু আজকে ছাত্রলীগের ওরা কোন সাহসে ক্যাম্পাসে আসে তা আমরা বুঝতে পারতেছি না।

চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একজন শিক্ষার্থী অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করেছি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

চবিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকে পেটাল ছাত্রদল

আপডেট সময় ১০:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চবির কলা ঝুপড়ির পিছনে তাকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মারধর করেন।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতার নাম শাফিকুর রহমান মেঘ বলে জানা গেছে। তিনি ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ক্যাম্পাসের উপগ্রুপ সিএফসির অনুসারী ছিলেন মেঘ।

সূত্রে জানা যায়, মেঘ তার চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে কলা অনুষদ থেকে বেরিয়ে জারুলতলার সামনে আসলে তার গতিরোধ করে কলা ঝুপড়ির পিছনে নিয়ে যায় ছাত্রদলের কর্মীরা। পরে সেখানে তাকে ছাত্রদলের কর্মীরা মারধর করে বলে জানা গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা মেঘ অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। এসময় শাখা ছাত্রদল কর্মী প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ানসহ ছাত্রদলের অন্যান্য কর্মীদের তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ছাত্রলীগ নেতা মেঘকে উদ্ধার করে।

চবি শাখা ছাত্রদল কর্মী সাইদ মোহাম্মদ রেদোয়ান নিজেকে একজন ভুক্তভোগী হিসেবে দাবি করে বলেন, ২০১৯ সালে ছাত্রলীগ নেতা মেঘ আমার মোবাইল চেক করে ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততা পেয়ে গেস্ট রুমে নিয়ে মারধর করে। আমাকে মেরে এক পর্যায়ে হল থেকে বের করে দেয়।

শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ছাত্রলীগের নেতা আপন ইসলাম মেঘ আমাদের ছাত্রদল কর্মী রেদোয়ানকে মেরে হল থেকে বের করে দেয়। মেঘ ক্যাম্পাসে আসলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ। যেহেতু মেঘ নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত তাই নিষিদ্ধ কোন সংগঠনের কারোর সাথে আপোষ নেই।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল নোমান। এই ঘটনা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সামনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আমরা আশঙ্কা করছি তারা তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময়ে ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতি করার চেষ্টা করতে পারে। আমরা প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। আওয়ামী লীগের আমলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচারে আমাদের অনেক কর্মীদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়েছে। তখন তারা পরীক্ষা দিতে আসতে পারেনি, ক্লাস করতে পারেনি। কিন্তু আজকে ছাত্রলীগের ওরা কোন সাহসে ক্যাম্পাসে আসে তা আমরা বুঝতে পারতেছি না।

চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একজন শিক্ষার্থী অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করেছি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।