উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বিপাকে জনজীবন। গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলেও আজকে তা কমে ৮ ডিগ্রি ঘরে নেমে গেছে। এতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। হিমেল বাতাসের সঙ্গে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। সকালের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও বিকেল ৪টা বাজতে না বাজতেই ফের হারিয়ে যায়।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিস ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যা গতকাল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২-১৩ কিলোমিটার
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।এদিকে পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকাল সকাল রোদের ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ নেই। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। তবে গত কয়েকদিন পর আবারও শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। এ ছাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া আর শেষ বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শুক্রবার সকাল ভোর ৬টায় তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ১০০ শতাংশ ছিল। ফলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।