ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সব মতভেদ ভুলে এক হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 49

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বৃহত্তর স্বার্থে সব মতভেদ ভুলে গণঅধিকার পরিষদ এক হয়েছে। দু’একজন এর বাইরে থাকতে পারে। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা সবাই যুক্ত হবেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আল রাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

৭২-এর সংবিধান বাতিলের কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সময় সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এটা বাতিলের প্রয়োজন নেই। বরং সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা যায়। এই জাতি একবারই স্বাধীন হয়। ’৭১-এর সঙ্গে ’২৪-এর তুলনা চলে না। কোটা আন্দোলন ও জুলাই আন্দোলনে আহত সবাইকে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।

নুর বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সরকারের নানা দুর্বলতা লক্ষ্য করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। আওয়ামী হাইকমান্ডের লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে, সচিবালয়ে আগুন আমাদের হতাশ করছে। শিক্ষার্থীরা একটি ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা সেটিকে সর্বজনীন করার উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে একটি বিভাজন থেকে রক্ষা করেছেন। আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশকে পেছনে নিয়ে যাবে। দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিতেই দেশ চালাতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। মাঝখানে কিছু মতপার্থক্যের কারণে গণঅধিকার পরিষদ আলাদাভাবে পথ চলতে শুরু করে। কিন্তু ২০২৪ সালের বিপ্লবে গণঅধিকার পরিষদের উভয়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশ ও জাতির প্রয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের উভয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ অনুভব করার জায়গা থেকে আজকে গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদ আজ থেকে একটিই যার ভিত্তি কোটা আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নুরের নেতৃত্বাধীন অংশের উচ্চতর পরিষদ ও নির্বাহী কমিটির নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন

উল্লেখ, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। নুরুল হক ও তার সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। নেতৃত্ব নিয়ে ২০২৩ সালে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের মধ্যে মতবিরোধে ভেঙে যায় গণঅধিকার পরিষদ। এবার নতুন বাংলাদেশ গঠনে অতীতের সেই সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

সব মতভেদ ভুলে এক হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ

আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বৃহত্তর স্বার্থে সব মতভেদ ভুলে গণঅধিকার পরিষদ এক হয়েছে। দু’একজন এর বাইরে থাকতে পারে। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা সবাই যুক্ত হবেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আল রাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

৭২-এর সংবিধান বাতিলের কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সময় সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এটা বাতিলের প্রয়োজন নেই। বরং সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা যায়। এই জাতি একবারই স্বাধীন হয়। ’৭১-এর সঙ্গে ’২৪-এর তুলনা চলে না। কোটা আন্দোলন ও জুলাই আন্দোলনে আহত সবাইকে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।

নুর বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সরকারের নানা দুর্বলতা লক্ষ্য করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। আওয়ামী হাইকমান্ডের লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে, সচিবালয়ে আগুন আমাদের হতাশ করছে। শিক্ষার্থীরা একটি ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা সেটিকে সর্বজনীন করার উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে একটি বিভাজন থেকে রক্ষা করেছেন। আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশকে পেছনে নিয়ে যাবে। দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিতেই দেশ চালাতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। মাঝখানে কিছু মতপার্থক্যের কারণে গণঅধিকার পরিষদ আলাদাভাবে পথ চলতে শুরু করে। কিন্তু ২০২৪ সালের বিপ্লবে গণঅধিকার পরিষদের উভয়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশ ও জাতির প্রয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের উভয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ অনুভব করার জায়গা থেকে আজকে গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদ আজ থেকে একটিই যার ভিত্তি কোটা আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নুরের নেতৃত্বাধীন অংশের উচ্চতর পরিষদ ও নির্বাহী কমিটির নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন

উল্লেখ, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। নুরুল হক ও তার সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। নেতৃত্ব নিয়ে ২০২৩ সালে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের মধ্যে মতবিরোধে ভেঙে যায় গণঅধিকার পরিষদ। এবার নতুন বাংলাদেশ গঠনে অতীতের সেই সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।