ঢাকা ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 25

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে ।

গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেছেন, ‘সমস্ত মানুষ মিলে আমরা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি। আন্দোলন এবং আন্দোলনের মালিকানা কেউ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। মালিকানার হিসাব যদি করতে হয়, আমরা (বিএনপি) যেই হিসাব দেব আপনারা লজ্জা পাবেন। মালিকানা নিয়ে টানাটানি করলে শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে।’

তিনি বলেছেন, ‘আন্দোলনের মালিকানা মানে জনগণ তাদের ভোটে যাকে ইচ্ছে তাকে নির্বাচিত করবে। এটা নিয়ে কেউ খেলাধুলা করলে আবার শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে। আপনারা ভোট না নিয়ে নতুন নতুন বয়ান সৃষ্টি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা এখানে কাজ করবে না। ভোটে যেতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা চাই না আন্দোলনকে নিয়ে দেশে একটি বিভক্ত সৃষ্টি হোক। আমরা চাই আন্দোলনকে নিয়ে দেশে ঐক্য সৃষ্টি হোক। আর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে চিরজীবনের জন্য দেশ থেকে যে স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছে, সেই ফ্যাসিস্ট ও তার প্রেতাত্মা যাতে আর ফিরে আসতে না পারে।’

ছাত্রদল নির্যাতনের পরেও রাজপথে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রদল রাস্তায় থেকে জীবন দিয়ে পঙ্গু হয়ে, মামলা খেয়ে, পালিয়ে বেড়িয়ে, ব্যবসা-চাকরি হারিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে। এই ছাত্রদল, যারা এরশাদকে বিতাড়িত করেছে; দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গুম, খুনের শিকার হয়েও কেউ বাড়ি ফিরে যায়নি।’

বিএনপির এই নেতা বলেচেন, ‘আন্দোলন নিয়ে নতুন নতুন বয়ান শোনা যাচ্ছে। আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। বয়ান দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখবেন। আমরা এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। এ আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলন।’

শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। এর বাইরে আর কোনো দায়িত্ব নেই। আর যে সংস্কারের গল্প করা হচ্ছে সেগুলো হবে আগামী সংসদে। অর্থাৎ নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যত সংস্কার প্রয়োজন তা করবে।’

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আপডেট সময় ১০:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে ।

গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেছেন, ‘সমস্ত মানুষ মিলে আমরা আন্দোলন করে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছি। আন্দোলন এবং আন্দোলনের মালিকানা কেউ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। মালিকানার হিসাব যদি করতে হয়, আমরা (বিএনপি) যেই হিসাব দেব আপনারা লজ্জা পাবেন। মালিকানা নিয়ে টানাটানি করলে শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে।’

তিনি বলেছেন, ‘আন্দোলনের মালিকানা মানে জনগণ তাদের ভোটে যাকে ইচ্ছে তাকে নির্বাচিত করবে। এটা নিয়ে কেউ খেলাধুলা করলে আবার শেখ হাসিনার পথে যেতে হবে। আপনারা ভোট না নিয়ে নতুন নতুন বয়ান সৃষ্টি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা এখানে কাজ করবে না। ভোটে যেতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা চাই না আন্দোলনকে নিয়ে দেশে একটি বিভক্ত সৃষ্টি হোক। আমরা চাই আন্দোলনকে নিয়ে দেশে ঐক্য সৃষ্টি হোক। আর আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে চিরজীবনের জন্য দেশ থেকে যে স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছে, সেই ফ্যাসিস্ট ও তার প্রেতাত্মা যাতে আর ফিরে আসতে না পারে।’

ছাত্রদল নির্যাতনের পরেও রাজপথে ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘ছাত্রদল রাস্তায় থেকে জীবন দিয়ে পঙ্গু হয়ে, মামলা খেয়ে, পালিয়ে বেড়িয়ে, ব্যবসা-চাকরি হারিয়ে শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে। এই ছাত্রদল, যারা এরশাদকে বিতাড়িত করেছে; দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গুম, খুনের শিকার হয়েও কেউ বাড়ি ফিরে যায়নি।’

বিএনপির এই নেতা বলেচেন, ‘আন্দোলন নিয়ে নতুন নতুন বয়ান শোনা যাচ্ছে। আন্দোলন হাইজ্যাক করে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। বয়ান দেওয়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখবেন। আমরা এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না। এ আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আন্দোলন।’

শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া। এর বাইরে আর কোনো দায়িত্ব নেই। আর যে সংস্কারের গল্প করা হচ্ছে সেগুলো হবে আগামী সংসদে। অর্থাৎ নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যত সংস্কার প্রয়োজন তা করবে।’