হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার থেকে সূর্যের দেখা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০-১২ কিলোমিটার। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েক দিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সকালে ঝলমলে রোদের দেখা মিলছে। রাতে ও সকালে ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে। তবে গত কয়েক দিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। এ ছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। সারাদিন ঠান্ডা আবহাওয়া আর শেষ বিকালে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।
এছাড়া শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।