রাজধানীতে আগামীকাল (৩১ ডিসেম্বর) আলাদা কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ইসলামী ছাত্রশিবির। একদিনে এই দুই ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি ঘিরে রাজনীতির অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা।
বছরের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ উন্মোচনের পরিকল্পনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের দাবি, এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ৭২-এর সংবিধান এবং আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী রাজনীতিকে ‘কবর’ দেওয়া হবে।
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩১তম সদস্য সম্মেলন কবরে আগামীকাল মঙ্গলবার। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে এই সম্মেলন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছাত্রসংগঠনটির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে।
সংগঠনের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন শীর্ষ নেতা। শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের এই সম্মেলনে।
এদিকে গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, তারা আগামীকাল বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে। সংগঠনের নেতারা ঘোষণাপত্রে দুটি মৌলিক বিষয়ের উল্লেখ করেছেন।
তাতে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে।
তবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মো. শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ (বেসরকারি উদ্যোগ) হিসেবেই দেখছি। সরকারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা এটিকে সাপোর্ট করছেন, একটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভকে সাপোর্ট করছেন।