দেশের সংস্কার কার্যক্রমে গতি আনতে গঠিত ১৫টি কমিশনের মধ্যে কয়েকটি তাদের প্রতিবেদন খুব শিগগিরই জমা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে, যা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সংস্কার সম্পন্ন করা যায়।
ভিডিও কনফারেন্সে তিনি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, সার সরবরাহ এবং শিল্প এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তারা এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন। কনফারেন্সে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ পুলিশ প্রধান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পর্যায়ের ১৯ জন কর্মকর্তা বক্তব্য দেন।
কনফারেন্সর সমাপনী বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও মতামত আগামী দিনে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা আমার জন্য প্রথম সুযোগ ছিল আপনাদের সঙ্গে কথা বলার। অনেক কিছু শিখলাম, অনেক বিষয়ে নিজেকে অবহিত করলাম। এটা আমাদের কাজে সহায়ক হবে।
আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “রমজান আসছে। রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারমূল্যের দিকে আপনারা বিশেষভাবে নজর রাখবেন। শুধু বাজারমূল্য নয়, জিনিসপত্র আনা-নেওয়া আরও কীভাবে সহজ করা যায়, সে বিষয়েও কাজ করবেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। তিনি জানান, শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা বাকি চার বিভাগের ৩৩ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একই ধরনের ভিডিও কনফারেন্স করবেন।