ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপ

ঢাবিতে হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

এ সময় তারা ‘জুতা মারো তালে তালে, খুনি হাসিনার দুই গালে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত, রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি যারা মুছে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। আজ আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ সেটা আবার নতুন করে দেশবাসী দেখল। খুনী হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বাকশালী মুজিবের যে ঘৃণাস্তম্ভ ছিল সেটাও ফিরিয়ে আনতে হবে।”

রিকশাওয়ালা শহিদুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে এখন আর কোন স্বৈরাচার নাই। এখন কত আনন্দে আছি। শেখ হাসিনার নামে যত মামলা আছে, তার প্রত্যেকটিতে হাসিনার ফাঁসি হবে। এজন্য ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।”

গত ২৮ ডিসেম্বর এনএসআই এর অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিতে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম স্মৃতি ঘৃণাস্তম্ভটি থেকে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির কিয়দংশ মুছে ফেলে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের চাপের রবিবার রাতে শেখ হাসিনার এ প্রতিকৃতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে পুনরায় অঙ্কন করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত ৫০

ঢাবিতে হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপ

আপডেট সময় ০৭:২০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

এ সময় তারা ‘জুতা মারো তালে তালে, খুনি হাসিনার দুই গালে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত, রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি যারা মুছে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। আজ আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ সেটা আবার নতুন করে দেশবাসী দেখল। খুনী হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বাকশালী মুজিবের যে ঘৃণাস্তম্ভ ছিল সেটাও ফিরিয়ে আনতে হবে।”

রিকশাওয়ালা শহিদুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে এখন আর কোন স্বৈরাচার নাই। এখন কত আনন্দে আছি। শেখ হাসিনার নামে যত মামলা আছে, তার প্রত্যেকটিতে হাসিনার ফাঁসি হবে। এজন্য ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।”

গত ২৮ ডিসেম্বর এনএসআই এর অনুরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিতে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম স্মৃতি ঘৃণাস্তম্ভটি থেকে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির কিয়দংশ মুছে ফেলে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। পরে শিক্ষার্থীদের চাপের রবিবার রাতে শেখ হাসিনার এ প্রতিকৃতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে পুনরায় অঙ্কন করা হয়।