ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo কামিন্দুর ফিফটিতে ১৩৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি লঙ্কানদের Logo বসতবাড়িতে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ, আহত ৩ Logo এই সময় -কে সাক্ষাৎকার বিতর্কের মধ্যেই মির্জা ফখরুল-অনমিত্রের ছবি প্রকাশ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি Logo জবি ছাত্রদলের উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ বিতরণ Logo বিএনপি ভারতমুখী হলে আমরা তাদের উচিত শিক্ষা দেব: নাসীরুদ্দীন Logo গালির জবাবে দোয়া হবে আমাদের কর্মসূচি : জামায়াত আমির Logo জামায়াতকে আর মাথায় উঠতে দেব না, ভারতীয় মিডিয়াকে মির্জা ফখরুল Logo নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার দাবি জামায়াতের

নিজ এলাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন হারিস চৌধুরী

নিজ এলাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন হারিস চৌধুরী

মৃত্যুর তিন বছর পর অবশেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ এলাকা সিলেটের কানাইঘাটে শায়িত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিছ চৌধুরী। আজ রবিবার বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় সাবেক এই বিএনপি নেতাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, মরহুম হারিস চৌধুরী একজন ক্যারিশমাটিক নেতা ছিলেন। তিনি বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বরত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। তার মধ্যে দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল।

তিনি চাইলে দেশ থেকে পালাতে পারতেন কিন্তু তা করেননি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দলীয় শাসনের সরকারও তার মেধা ও কৌশলের কাছে পরাস্ত হয়েছিল। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় তার লাশটি নিজ গ্রামে দাফন করা সম্ভব হয়নি। আজ প্রায় তিন বছর পর তার দেহাবশেষ নিজগ্রামে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হারিস চৌধুরীর দেহাবশেষ সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে আনা হয়। সেখানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দোয়া করা হয়। পরে দেহাবশেষ পুনরায় দাফনের জন্য কানাইঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিস চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে মেয়ে সামিরার এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

লাশ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজ এলাকায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত হলেন হারিস চৌধুরী

আপডেট সময় ০৯:৩৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মৃত্যুর তিন বছর পর অবশেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ এলাকা সিলেটের কানাইঘাটে শায়িত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিছ চৌধুরী। আজ রবিবার বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয় সাবেক এই বিএনপি নেতাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, মরহুম হারিস চৌধুরী একজন ক্যারিশমাটিক নেতা ছিলেন। তিনি বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বরত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। তার মধ্যে দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল।

তিনি চাইলে দেশ থেকে পালাতে পারতেন কিন্তু তা করেননি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দলীয় শাসনের সরকারও তার মেধা ও কৌশলের কাছে পরাস্ত হয়েছিল। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় তার লাশটি নিজ গ্রামে দাফন করা সম্ভব হয়নি। আজ প্রায় তিন বছর পর তার দেহাবশেষ নিজগ্রামে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হারিস চৌধুরীর দেহাবশেষ সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে আনা হয়। সেখানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দোয়া করা হয়। পরে দেহাবশেষ পুনরায় দাফনের জন্য কানাইঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিস চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে মেয়ে সামিরার এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

লাশ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।