দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমানটিতে ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন।
রবিবার(২৯ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান শহরের একটি বিমানবন্দরে একটি যাত্রীবাহী বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে এবং বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
রোববার জেজু এয়ারের ওই বিমানটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলেও জানিয়েছে ইয়োনহাপ।
আল জাজিরা জানায়, বিধ্বস্ত এই বিমানটিতে ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরে অবতরণকালে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ফ্লাইটটি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের শেয়ার করা বেশ কিছু ছবিতে দুর্ঘটনাকবলিত বিমান থেকে ঘন কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
এদিকে মুয়ান শহরে বিমান দুর্ঘটনরার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু “উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার” নির্দেশ দিয়েছেন বলে ইয়োনহাপ জানিয়েছে।
উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ইতোমধ্যেই দুজনকে জীবিত পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
স্থানীয় ফায়ার ডিপার্টমেন্টের রেসপন্স টিম অফিসার লি হাইওন-জি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছি। তবে গুরুতর আহতদের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”
লি আরও বলেন, উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত বিমানের পেছনের অংশ থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নিচ্ছে।
সংবাদসংস্থা ইয়োনহাপ রিপোর্ট করেছে, থাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে বিমানটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় “পাখির সাথে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে” দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।