বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাইতে হাসিনা বলেছিল যাকে যেখানে পাবে গুলি করবে দেখামাত্র। এই গুলি করা তো জুলাইতে প্রথম হয়নি আগেও হয়েছে।
আবরার ফাহাদ ও বিশ্বজিৎ প্রসঙ্গে শিবির সেক্রেটারি বলেন ছাত্র শিবির সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ছাত্র শিবির সন্দেহে- শব্দগুলো এতবার ব্যবহার করা হয়েছে এই শব্দ দিয়ে যাকে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলাকে জায়েজ করে দিয়েছেন আপনারা। এখন প্রশ্ন হলো, আবরার আর বিশ্বজিৎ যদি সত্যিকার অর্থে ছাত্র শিবির না করতো তাহলে কি তারা আমাদের কাছে পরিচিতি পাইতো!
জাহিদুল ইসলাম বলেন, আবরার আর বিশ্বজিতের মত এইরকম শত শত ঘটনা আছে যেগুলো সামনে আসেনি কারণ ছাত্র শিবিরের নাম থাকে। আর সেই কারণেই জুলাই গণহত্যা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন মামলা-বাণিজ্য দেখতে পাচ্ছি। এরকম অনেকে যারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল না তাদের নাম চলে আসছে আবার অনেকে জড়িত থেকেও বাণিজ্য করে নাম বাদ দিচ্ছে। জামিনের ঘটনাও ঘটছে।
তিনি আরো বলেন, আর এদিকে আমরা আওয়ামী লীগকে এখন ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করতে দেখা যায়। তাদের নির্বাচনে কেন অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না ও তাদের কেন কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না এসব নিয়ে কথা চলছে। মনে রাখবেন হাজার লাশের উপর আমরা বসে আছি এখন।