বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কারের পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার ঘোষণা দিলেও আশানুরূপ চিকিৎসা নিশ্চিত হয়নি। শহীদ এবং আহতরা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তারা আমাদের জাতীয় বীর। তাদেরকে কেউ দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করবে না। তাদের প্রতি আমাদের সকলের কর্তব্য এবং আমরা সকলে তাদের প্রতি ঋণী। ২৪ এর এই বিপ্লবের প্রত্যাশা সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করা।”
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর )ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের আয়োজনে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মৃতিচারণ “প্রেরণার গণঅভ্যুত্থান ২০২৪” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন “ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনা মানুষ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। মানুষ যখন মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তখনই এমন অমানবিক নির্দেশ দিতে পারে। জামায়াতে ইসলামী এক ব্যক্তি বা এক দলের ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়। জামায়াতে ইসলামী গণতন্ত্রকামী সব দলের সমন্বয়ে সরকার গঠন করতে চায়। যেখানে একক কোন ব্যক্তি বা দলের ক্ষমতা ও প্রভাব থাকবে না। এমন একটি সরকার গঠন হলে জাতি সত্যিকারর্থে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে। একজন নাগরিক তার প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার পাবে।”
তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানের অনুরোধ জানান। প্রয়োজনে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীরা স্মৃতিচারণ করেন। তাঁরা বলেন, আমরা কোন কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিনি। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করে নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য। তাঁরা গণহত্যার অপরাধে খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি করেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, মহানগরী নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন, মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান এবং শামসুর রহমান প্রমুখ।