বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াজ্জম হোসাইন হেলাল। তিনি বলেন, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে তারা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গুম ও খুনের রাজনীতি চালিয়ে তাদের দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তবে আল্লাহর অনুগ্রহে সেই সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে, এবং ফ্যাসিবাদী হাসিনা তার সদলবলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাগেরহাট পৌরসভার জামায়াত আমির মাওলানা শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এবং পৌর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ইছাদুল হকের পরিচালনায় কর্মী সমাবেশে এ বক্তব্য দেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিলেও তাদের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু দেশের জনগণ সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। জুলাই বিপ্লবের পর জনগণ এখন বাংলাদেশকে একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। আর এই রাষ্ট্র গঠনে জনগণ দুর্নীতিমুক্ত দল হিসেবে জামায়াতের নেতৃত্বে আস্থা রাখে।
০৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পরও জামায়াতের নেতাকর্মীরা কোনো প্রকার লুটপাট বা দুর্নীতিতে জড়ায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শ বুকে ধারণ করে সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় জামায়াতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান খান, বাগেরহাট জেলা আমীর মাওলানা রেজাউল করিম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মিজানুর রহমান মল্লিক ও অ্যাডভোকেট মোস্তাইন বিল্লাহ। এছাড়া জেলা কর্মপরিষদের সদস্য মঞ্জুরুল হক রাহাদ, মাওলানা আবুল কাশেম,ছাত্রশিবিরের সাবেক কার্যকরী পরিষদের সদস্য শেখ এনামুল কবির, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, এবং বাগেরহাট জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ। অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা আমির ডা. মাওলানা ফেরদাউস আলী প্রমুখ।