বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সার্ভিস কর্মীকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ট্রাকচালককে আটক করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ওই ট্রাকচালক দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাচ্ছিল। শিক্ষার্থীরা সামনে গিয়ে ব্যারিকেড দিলে চালক ট্রাক থামান।
পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় উত্তেজিত লোকজন চালককে মারতে উদ্যত হন, কিন্তু সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বিকল্প পানির ব্যবস্থা করছিলেন। এ সময় তিনি পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন।হঠাৎ একটি দ্রুতগামী ট্রাক পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। মাথায় পরা হেলমেটটি সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায় এবং রাস্তায় রক্তের দাগ দেখা যায়।
ট্রাক চাপায় আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা পর তিনি মারা যায়
উল্লেখ, রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে। এরপর তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
পরে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে সাতটার দিকে সচিবালয়ের সামনে বিফ্রিংয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন,পাঁচ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে সচিবালয়ের আগুন । ঘণ্টা খানেকের মধ্যে নেভানোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন । ট্রাক চাপায় আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্যর মৃত্যুর খবরটিও নিশ্চিত করেন