ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই গ্রাফিতির ওপর লেখা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’লেখা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গেল ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সারাদেশের মতো পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রতিটি দেয়ালের রূপ। প্রতিবাদের চিত্রগুলো গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলেন বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা। গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিবাদ, দেশপ্রেম, সাম্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা। আওয়ামী লীগ, হাসিনা বিরোধী ছবি ও গ্রাফিতি অঙ্কনও করে ছাত্র-জনতা।

তবে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে দেখা মিলল ভিন্ন চিত্র। গ্রাফিতির ওপর সদ্য জাতীয় স্লোগান থেকে বাদ দেওয়া ‘জয় বাংলা’ লিখে রেখেছে কেউ। রয়েছে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটিও। এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

নালিতাবাড়ী পৌরশহরের থানা সংলগ্ন দেয়ালগুলোতে গতকাল সোমবার রাতের কোনো এক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা গ্রাফিতি নষ্ট করে দিয়েছে এমন প্রশ্ন জনমনে। গ্রাফিতির উপর ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না বা মানতে পারে না এমন কোন অপশক্তিই এসব করেছে।

গ্রাফিতি অঙ্কনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আমিন জানায়, রাতের আঁধারে কোনো অপশক্তি গ্রাফিতিগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। গ্রাফিতির ওপর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান লেখা হয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান হাইকোর্ট নিষিদ্ধ বা স্থগিত করেছেন, এটা তো আমাদের বিষয় নয়। তারা কেন আমাদের গ্রাফিতি নষ্ট করল।

স্থানীয় হাসান তৌফিক তূর্য জানায়, তারা আমাদের চেতনার ওপর আঘাত করেছে। যারা এই কাজ করেছে তারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে না, এটা তারই প্রমাণ।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ , রাতের আঁধারে কোনো অপশক্তি গ্রাফিতিগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। গ্রাফিতির ওপর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান লেখা হয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান হাইকোর্ট নিষিদ্ধ বা স্থগিত করেছেন, এটা তো আমাদের বিষয় নয়। তারা কেন আমাদের গ্রাফিতি নষ্ট করল।

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্যায়-সিন্ডিকেট-চাঁদাবাজি দেখলেই আমরা তা উপড়ে ফেলব : সারজিস আলম

জুলাই গ্রাফিতির ওপর লেখা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’লেখা

আপডেট সময় ১২:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গেল ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। সারাদেশের মতো পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রতিটি দেয়ালের রূপ। প্রতিবাদের চিত্রগুলো গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলেন বিপ্লবী শিক্ষার্থীরা। গ্রাফিতির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় প্রতিবাদ, দেশপ্রেম, সাম্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা। আওয়ামী লীগ, হাসিনা বিরোধী ছবি ও গ্রাফিতি অঙ্কনও করে ছাত্র-জনতা।

তবে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে দেখা মিলল ভিন্ন চিত্র। গ্রাফিতির ওপর সদ্য জাতীয় স্লোগান থেকে বাদ দেওয়া ‘জয় বাংলা’ লিখে রেখেছে কেউ। রয়েছে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটিও। এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

নালিতাবাড়ী পৌরশহরের থানা সংলগ্ন দেয়ালগুলোতে গতকাল সোমবার রাতের কোনো এক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা গ্রাফিতি নষ্ট করে দিয়েছে এমন প্রশ্ন জনমনে। গ্রাফিতির উপর ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না বা মানতে পারে না এমন কোন অপশক্তিই এসব করেছে।

গ্রাফিতি অঙ্কনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আমিন জানায়, রাতের আঁধারে কোনো অপশক্তি গ্রাফিতিগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। গ্রাফিতির ওপর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান লেখা হয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান হাইকোর্ট নিষিদ্ধ বা স্থগিত করেছেন, এটা তো আমাদের বিষয় নয়। তারা কেন আমাদের গ্রাফিতি নষ্ট করল।

স্থানীয় হাসান তৌফিক তূর্য জানায়, তারা আমাদের চেতনার ওপর আঘাত করেছে। যারা এই কাজ করেছে তারা জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে না, এটা তারই প্রমাণ।

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৷ , রাতের আঁধারে কোনো অপশক্তি গ্রাফিতিগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। গ্রাফিতির ওপর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান লেখা হয়েছে। জয় বাংলা স্লোগান হাইকোর্ট নিষিদ্ধ বা স্থগিত করেছেন, এটা তো আমাদের বিষয় নয়। তারা কেন আমাদের গ্রাফিতি নষ্ট করল।