ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসলেই কি ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ও মির্জা গালিব ব্যাচমেট?

সভাপতি রাকিব ও মির্জা গালিব

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব মাস্টার্স ও পিএইচডি করে শিক্ষকতা করছে। আর তারই ব্যাচমেট ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব নিজেরে শিক্ষার্থী দাবী করে’ বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

সেই ভাইরাল হওয়া বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এর সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব একে অপরের ব্যাচমেট ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে ছাত্রদল নেতা রাকিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলেন। অপরদিকে মির্জা গালিব ২০০৫ সালে স্নাতক এবং ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

রিউমর স্ক্যানারের টিম জানায়, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে দেশের একটি মূলধারার গণমাধ্যমে ‌‘‘‘বিবাহিত’ বলে ফেসবুকে প্রচারণা, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুলের জিডি” শীর্ষক শিরোনামে চলতি বছরের গত ২৭ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রাকিবুল গত ১ মার্চ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পান।”

এছাড়া, “ছাত্রদলের নতুন সভাপতি কে এই রাকিব” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার আরেকটি সংবাদমাধ্যমে চলতি বছরের গত ০৫ মার্চে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাকিব ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার নবারুণ বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে ২০০৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাশ করেন। এরপর ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি।

পাশাপাশি রাকিবের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করলে লক্ষ্য করা যায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন।

অপরদিকে মির্জা গালিবের কর্মস্থল হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে মির্জা গালিবের প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করলে জানা যায়, মির্জা গালিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন এবং রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে ২০০৫ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিভাগে ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি রসায়ন বিভাগে ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা থেকে পিএইচডিও সম্পন্ন করেছিলেন। একই তথ্য হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে মির্জা গালিবের প্রোফাইলে সংযুক্ত গালিবের সিভি থেকেও জানা যায়।

অর্থাৎ, ছাত্রদল নেতা রাকিব যে সময়ে নিজের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পাশ করেছেন, তার কাছাকাছি সময়েই মির্জা গালিব নিজের স্নাতক পর্যায় সম্পন্ন করেছেন। ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ও সাবেক শিবির নেতা গালিব একে অপরের ব্যাচমেট ছিলেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

সূত্র:রিউমর স্ক্যানার

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্যায়-সিন্ডিকেট-চাঁদাবাজি দেখলেই আমরা তা উপড়ে ফেলব : সারজিস আলম

আসলেই কি ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ও মির্জা গালিব ব্যাচমেট?

আপডেট সময় ১১:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব মাস্টার্স ও পিএইচডি করে শিক্ষকতা করছে। আর তারই ব্যাচমেট ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব নিজেরে শিক্ষার্থী দাবী করে’ বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

সেই ভাইরাল হওয়া বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালায় রিউমর স্ক্যানার টিম। তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এর সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মির্জা গালিব একে অপরের ব্যাচমেট ছিলেন না। প্রকৃতপক্ষে ছাত্রদল নেতা রাকিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলেন। অপরদিকে মির্জা গালিব ২০০৫ সালে স্নাতক এবং ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

রিউমর স্ক্যানারের টিম জানায়, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে দেশের একটি মূলধারার গণমাধ্যমে ‌‘‘‘বিবাহিত’ বলে ফেসবুকে প্রচারণা, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুলের জিডি” শীর্ষক শিরোনামে চলতি বছরের গত ২৭ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রাকিবুল গত ১ মার্চ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পান।”

এছাড়া, “ছাত্রদলের নতুন সভাপতি কে এই রাকিব” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার আরেকটি সংবাদমাধ্যমে চলতি বছরের গত ০৫ মার্চে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাকিব ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার নবারুণ বিদ্যানিকেতন স্কুল থেকে ২০০৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে ২০০৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাশ করেন। এরপর ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন তিনি।

পাশাপাশি রাকিবের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করলে লক্ষ্য করা যায়, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগে ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন।

অপরদিকে মির্জা গালিবের কর্মস্থল হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে মির্জা গালিবের প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করলে জানা যায়, মির্জা গালিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন এবং রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে ২০০৫ সালে স্নাতক সম্পন্ন করে একই বিভাগে ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি রসায়ন বিভাগে ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা থেকে পিএইচডিও সম্পন্ন করেছিলেন। একই তথ্য হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে মির্জা গালিবের প্রোফাইলে সংযুক্ত গালিবের সিভি থেকেও জানা যায়।

অর্থাৎ, ছাত্রদল নেতা রাকিব যে সময়ে নিজের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পাশ করেছেন, তার কাছাকাছি সময়েই মির্জা গালিব নিজের স্নাতক পর্যায় সম্পন্ন করেছেন। ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ও সাবেক শিবির নেতা গালিব একে অপরের ব্যাচমেট ছিলেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

সূত্র:রিউমর স্ক্যানার