ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

সাগরে নামার প্রস্তুতি জেলেদের, রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা

সাগরে নামার প্রস্তুতি জেলেদের, রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা

ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে মাছ ধরা। সাগরে নামার প্রস্তুতিও শেষ করেছেন জেলেরা। এখন শুধু রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেরামত করা নৌকা নিয়ে জাল, রশিসহ সার্বিক মালামাল নিয়ে বসে আছেন জেলে নাসির তালুকদার। বসে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরমধ্যে সাগরে নামি নাই। কয়দিন বাড়ির টুকটাক কামকাইজ করছি। পরে নৌকা মেরামত, জাল বুনানো, খুঁটা সংগ্রহ করাসহ সবকিছু রেডি করেছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাত ১২টা বাজতেই সাগরে নামমু।’

তবে শুধু নাসির তালুকদার নয়; উপকূলীয় জেলেদের আশা, সাগরে নামার পর পর্যাপ্ত ইলিশ পেলে ঋণ পরিশোধ করে এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে পরিবার নিয়ে একটু সুখে থাকা।

আলীপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জেলেরা মেনেছেন। তবে সরকার কৃষকের মতো জেলেদের ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আনলে তাদের জীবনটা এত দুর্বিষহ হতো না। আমাদের আশা, সাগরে নামার পর জেলেরা ভালো মাছ নিয়ে ফিরবেন।

নৌপুলিশ কুয়াকাটা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে জেলে ও মৎস্য নেতারা অনেক সচেতন। তাই বেশিরভাগ জেলেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জাগো নিউজকে বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও এবারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। আশা করছি ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে গত ১২ অক্টোবর থেকে নদী ও সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসময় ইলিশ পরিবহন, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

সাগরে নামার প্রস্তুতি জেলেদের, রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা

আপডেট সময় ১১:১৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

ইলিশ শিকারে টানা ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ। রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে মাছ ধরা। সাগরে নামার প্রস্তুতিও শেষ করেছেন জেলেরা। এখন শুধু রাত ১২টা বাজার অপেক্ষা।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেরামত করা নৌকা নিয়ে জাল, রশিসহ সার্বিক মালামাল নিয়ে বসে আছেন জেলে নাসির তালুকদার। বসে থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরমধ্যে সাগরে নামি নাই। কয়দিন বাড়ির টুকটাক কামকাইজ করছি। পরে নৌকা মেরামত, জাল বুনানো, খুঁটা সংগ্রহ করাসহ সবকিছু রেডি করেছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাত ১২টা বাজতেই সাগরে নামমু।’

তবে শুধু নাসির তালুকদার নয়; উপকূলীয় জেলেদের আশা, সাগরে নামার পর পর্যাপ্ত ইলিশ পেলে ঋণ পরিশোধ করে এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে পরিবার নিয়ে একটু সুখে থাকা।

আলীপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জেলেরা মেনেছেন। তবে সরকার কৃষকের মতো জেলেদের ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আনলে তাদের জীবনটা এত দুর্বিষহ হতো না। আমাদের আশা, সাগরে নামার পর জেলেরা ভালো মাছ নিয়ে ফিরবেন।

নৌপুলিশ কুয়াকাটা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে জেলে ও মৎস্য নেতারা অনেক সচেতন। তাই বেশিরভাগ জেলেই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জাগো নিউজকে বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও এবারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে। আশা করছি ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে গত ১২ অক্টোবর থেকে নদী ও সাগরে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এসময় ইলিশ পরিবহন, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় নিষিদ্ধ ছিল।