শিশু-কিশোরদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয় কিশোরকণ্ঠ জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হয় কিশোরকণ্ঠ জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৪। এ প্রতিযোগিতা দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। ১ম পর্ব শাখা পর্যায়ে এবং ২য় পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়। মে, জুন এবং জুলাই মাসের নতুন কিশোরকণ্ঠের ওপর অনুষ্ঠিত ১ম পর্বের উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে তিন লক্ষ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্য থেকে শাখা পর্যায়ের বাছাই শেষে দেশব্যাপী ১৩৮টি সেন্টারে একযোগে ১,৩৮০ (প্রায়) জনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা ২২ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ১০:০০টায় অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বের প্রতিযোগিতা শেষে ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ বিকেল ৩.০০টায় পত্রিকা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের ২০ জন বিজয়ীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন নতুন কিশোরকণ্ঠের সম্পাদক- কবি মোশাররফ হোসেন খান।
এ সময় কবি মোশাররফ হোসেন খান বলেন- ‘কিশোরকণ্ঠের স্লোগান কিশোরকণ্ঠ পড়বো, জীবনটাকে গড়বো’। কিশোরকণ্ঠ শিশু-কিশোরদের প্রিয় পত্রিকা। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লক্ষ্যে ২০১২ সাল থেকে কিশোরকণ্ঠ জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতা আয়োজিত হচ্ছে। নতুন কিশোরকণ্ঠের এই উদ্যোগ যেন সার্বিকভাবে সফল হয়- মহান আল্লাহর দরবারে সে কামনাই করছি।
নির্বাহী সম্পাদক মোঃ সিবগাতুল্লাহ বলেন, অনলাইন ডিসট্র্যাকশনের এই যুগেও কিশোরকণ্ঠ পাঠক তৈরিতে কাজ করছে। কিশোরকণ্ঠ পাঠমুখী প্রজন্ম ও সুন্দর মানুষ তৈরিতে কাজ করে থাকে। সত্য ও সুন্দর নিয়েই আমরা কাজ করি। আমাদের কিশোর-তরুণরা অনলাইনের এই যুগে পাঠ বিমুখ হয়ে উঠছে। তাদের পাঠাভ্যাস চালু রাখার জন্য কিশোরকণ্ঠ জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
কিশোর তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই একদল সৎ-দক্ষ-দেশপ্রেমিক কিশোর-তরুণ গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে কিশোরকণ্ঠ। কিশোরকণ্ঠের স্লোগান- কিশোরকণ্ঠ পড়বো, জীবনটাকে গড়বো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নতুন কিশোরকণ্ঠের সহকারী সম্পাদক মো: মোর্তাজুল ইসলাম, খন্দকার নূর হোসাইন, এডমিন ম্যানেজার ছাইদুল্লাহ সরদার-সহ কিশোরকণ্ঠ পরিবারের অন্যান্য সদস্য যথাক্রমে মতিউর রহমান মিয়াজি, ফোরকান উদ্দিন ফয়সাল, আতিকুর রহমান, আতাহারুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, আশিকুর রহমান নয়ন, মো. নাহিদ হাসান, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সারাদেশে জাতীয় ও শাখা পর্যায়ে মোট ২৫ লক্ষ টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে শাখা পর্যায়ে পুরস্কার প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম পুরস্কার ৩০,০০০ টাকার শিক্ষাবৃত্তি, দ্বিতীয় পুরস্কার ২৫,০০০ টাকার শিক্ষাবৃত্তি ও তৃতীয় পুরস্কার ২০,০০০ টাকার শিক্ষাবৃত্তিসহ মোট ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কার হিসাবে নগদ অর্থসহ প্রদান করা হবে ক্রেস্ট, সনদ ও মূল্যবান বই। পুরস্কার প্রদানের তারিখ ও স্থান পরবর্তী সময়ে কিশোরকণ্ঠের ফেইসবুক পেইজ, ওয়েবসাইট, ও পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বিজয়ী যারা-
১ম স্থান : মো. আব্দুল লাবীব আল মাশরাফি, নবম শ্রেণি, জলঢাকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদর, নীলফামারী
২য় স্থান : মো: মেহেদী হাসান, নবম শ্রেণি, কাহারোল উচ্চ বিদ্যালয়, কাহারোল, দিনাজপুর
৩য় স্থান : এস এম আরিফ মাহমুদ, নবম শ্রেণি, রাজনগর মুহাম্মদীয়া আলিয়া মাদ্রাসা, রাজনগর, মৌলভীবাজার
৪র্থ স্থান : হাসিব উল্লাহ, নবম শ্রেণি, সোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সোহনগঞ্জ, নেত্রকোণা
৫ম স্থান : রাকিবুল হাসান রবিন, অষ্টম শ্রেণি, আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সদর, নেত্রকোণা
৬ষ্ঠ স্থান : সাদ ইবনে ইয়াছির, দশম শ্রেণি, আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মদন, নেত্রকোণা
৭ম স্থান : আলীমূল ইসলাম, নবম শ্রেণি, আদর্শ স্কুল নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
৮ম স্থান : সিদ্দিকুর রহমান, দশম শ্রেণি, লাকসাম উম্মুল ক্বোরা দাখিল মাদ্রাসা, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
৯ম স্থান : মোহা: আমিরুল ইসলাম, দশম শ্রেণি, রেজিয়্যান্ট স্কুল এন্ড কলেজ, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
১০ম স্থান : মোঃ সাগর সেখ, একাদশ শ্রেণি, কুমারখালী সরকারি কলেজ, কুমারখালি, কুষ্টিয়া
১১ম স্থান : মোছা: আমিনা আক্তার হিরা মনি, একাদশ শ্রেণি, গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, সদর, গাইবান্ধা
১২ম স্থান : মৌন ইবনে মুরাদ বিবেক, অষ্টম শ্রেণি, নেত্রকোণা কালেক্টরেট স্কুল, সদর, নেত্রকোণা
১৩ম স্থান : গাজী মুসাররাত সিনিন, নবম শ্রেণি, দি বাডস্ রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
১৪ম স্থান : আয়শা সিদ্দিকা, আলিম ২য় বর্ষ, পায়রা ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা, ফুলতলা, খুলনা
১৫ম স্থান : বর্ষন শিকদার, একাদশ, ঝিনাইদহ কেশব চন্দ্র কলেজ, সদর, ঝিনাইদহ
১৬ম স্থান : রাজিব আহসান রাজু, একাদশ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ, ঢাকা
১৭ম স্থান : মো: তামিম, নাহবেমীর শ্রেণি, টাঙ্গাইল জামিয়া ইসলামিয়া আশরাফুল, সদর, টাঙ্গাইল
১৮ম স্থান : মোঃ তাওফিকুর রহমান, আলিম, ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা, সদর, ঝিনাইদহ
১৯ম স্থান : মোঃ মাসুম বিল্লাহ তাসীন, সপ্তম শ্রেণি, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা, হালিশহর, চট্টগ্রাম
২০ম স্থান : মোঃ নাহিদুল ইসলাম, ১ম সেমিস্টার, রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সপুরা, রাজশাহী