ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জবিতে সাইকেল চুরির সময় যুবক আটক Logo ইশরাককে শপথ না পড়ানোর রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার Logo মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের হয়রানির ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ Logo ইংল্যান্ডের টেমসসাইডের প্রথম বাংলাদেশি নারী মেয়র শিবলী Logo বেফাঁস মন্তব্যের জেরে পদত্যাগে বাধ্য হলেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী Logo করিডর নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা Logo ইসি পুনর্গঠনে নির্বাচন কমিশনের সামনে এনসিপির বিক্ষোভ Logo ববির নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার মুহসিন উদ্দীন Logo দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি Logo ধানমন্ডি থানায় কেন গেলেন হান্নান মাসউদ,জানতে এনসিপির কারণ দর্শানোর নোটিশ

‘ভারত স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে মানুষকে ভাগ করেছে’

‘ভারত স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে মানুষকে ভাগ করেছে’

জাতিকে যখন টুকরা টুকরা করা যায় তখন তাদের গোলাম বানানো সহজ যায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ভারত দেশকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, মেজরিটি, মাইনিরিটি শক্তি এইভাবে কতভাবে যে তারা মানুষকে ভাগ করেছে। তারা মনে করেছিল তারাই দেশের মালিক আর আমরা ভাড়াটিয়া।

কিন্তু দেশের মালিকরা দেশে রয়ে গেছে কিন্তু ভাড়াটিয়ারা পালিয়ে গেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতকে উদ্দেশ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই। আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকঘরে কী পাকানো হয় আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই না। আমাদের পাকঘরে উঁকি মেরে তাকানোর চেষ্টা করবেন না। আমাদের আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন কিন্তু নিজের চেহারা একবার আয়নাতে ভালোভাবে দেখুন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগেই হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল।

তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে তা শুরু করেছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সালে পেছনের দরজায় বোঝাপড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসেই তারা খুনের রাজনীতি শুরু করে। প্রথমেই তারা পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। দেশপ্রেমিক ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকষ সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করে।

বিডিআরকে ধ্বংস করে সাড়ে ১৭ হাজার সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করেছে। সাড়ে ৮ হাজারকে সদস্যকে জেলে পোড়েছে। জেলের ভেতরে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩’শ মারা গেছেন।

ডা. শফিকুর রহমান ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের মুখে ভেংচি কেটে কেটে বলতেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে বিএনপি-জামায়াত দেশে দুই দিনের মধ্যে ৫ লাখ মানুষকে খুন করবে। ৫ তারিখের পর দুই দিনে কি বাংলাদেশে ৫ লাখ মানুষকে খুন করা হয়েছে? দেশে মানুষ খুন হয়নি। কারণ তাদেরকে যারা দোষারোপ করতো তারা ভালো মানুষ। তাদের কোনো মাসির বাড়ি নেই, দিদির বাড়িও নেই। তাদের কোন স্বামীর বাড়িও নেই। এই দেশই আমাদের দেশ।’

আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন সম্পর্কে জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কাউকেই ছাড় দেয়নি। তারা জামায়াতের পর, বিএনপিকে ধরেছে, তারপর হেফাজত এবং দেশের আলেম উলামাকে অপদস্থ করেছে। সাংবাদিকদের খুন, গুম করেছে। কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিভাগীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে সাইকেল চুরির সময় যুবক আটক

‘ভারত স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে মানুষকে ভাগ করেছে’

আপডেট সময় ০৬:৫১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

জাতিকে যখন টুকরা টুকরা করা যায় তখন তাদের গোলাম বানানো সহজ যায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ভারত দেশকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিপক্ষের শক্তি, মেজরিটি, মাইনিরিটি শক্তি এইভাবে কতভাবে যে তারা মানুষকে ভাগ করেছে। তারা মনে করেছিল তারাই দেশের মালিক আর আমরা ভাড়াটিয়া।

কিন্তু দেশের মালিকরা দেশে রয়ে গেছে কিন্তু ভাড়াটিয়ারা পালিয়ে গেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতকে উদ্দেশ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই। আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দিন। আপনাদের পাকঘরে কী পাকানো হয় আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই না। আমাদের পাকঘরে উঁকি মেরে তাকানোর চেষ্টা করবেন না। আমাদের আপনারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন কিন্তু নিজের চেহারা একবার আয়নাতে ভালোভাবে দেখুন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগেই হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল।

তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে তা শুরু করেছিল। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সালে পেছনের দরজায় বোঝাপড়া করে নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় এসেই তারা খুনের রাজনীতি শুরু করে। প্রথমেই তারা পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায়। দেশপ্রেমিক ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকষ সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করে।

বিডিআরকে ধ্বংস করে সাড়ে ১৭ হাজার সদস্যকে চাকুরিচ্যুত করেছে। সাড়ে ৮ হাজারকে সদস্যকে জেলে পোড়েছে। জেলের ভেতরে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩’শ মারা গেছেন।

ডা. শফিকুর রহমান ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের মুখে ভেংচি কেটে কেটে বলতেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে বিএনপি-জামায়াত দেশে দুই দিনের মধ্যে ৫ লাখ মানুষকে খুন করবে। ৫ তারিখের পর দুই দিনে কি বাংলাদেশে ৫ লাখ মানুষকে খুন করা হয়েছে? দেশে মানুষ খুন হয়নি। কারণ তাদেরকে যারা দোষারোপ করতো তারা ভালো মানুষ। তাদের কোনো মাসির বাড়ি নেই, দিদির বাড়িও নেই। তাদের কোন স্বামীর বাড়িও নেই। এই দেশই আমাদের দেশ।’

আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন সম্পর্কে জামায়াত আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কাউকেই ছাড় দেয়নি। তারা জামায়াতের পর, বিএনপিকে ধরেছে, তারপর হেফাজত এবং দেশের আলেম উলামাকে অপদস্থ করেছে। সাংবাদিকদের খুন, গুম করেছে। কর্মী সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিভাগীয় নেতারা বক্তব্য দেন।