ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে: বন্যা আতঙ্কে স্থানীয়রা Logo দেশ থেকে পালিয়েছে হাসিনা—কারাগারে মিষ্টি বিক্রেতার মুখে খবর, বাঁধে উল্লাস – উদযাপন Logo বিচার বিভাগের পদ সৃজনের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম কোর্টের Logo নাটোরে জুলাই অভ্যুত্থানে বর্ষপূর্তিতে ৫ আগস্ট গণ মিছিল করবে জামায়াত Logo এবার মসজিদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সমন্বয়ক আমানের বিরুদ্ধে Logo ৮.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরই রাশিয়ায় আঘাতহানে সুনামি, ২ দেশে সতর্কতা Logo নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কহার নিয়ে তৃতীয় দফায় বৈঠক Logo সিরাজগঞ্জে বাসের ধাক্কায় ৪ বছরের শিশু নিহত Logo নোয়াখালী ভুলু স্টেডিয়াম খেলোয়াদের নয়,যে গরু খামার!

জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দিতে বললেন বিশপ

জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দিতে বললেন ইয়ান বিশপ। বিশপ মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তাৎক্ষণিকভাবেই, ধারাভাষ্যকক্ষে বসে। তবে ঘটনাটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার এতটাই অভিভূত যে, পরে আঙুল চেপেছেন কি-বোর্ডেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মাধ্যমে আইসিসির কাছে করেছেন সুপারিশ। বলেছেন, ২০২৪ সালের ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারটা জাকের আলী ও শামীম হোসেনকেই দেওয়া হোক।

কেন দেওয়া হোক, সেটা বিশপের পোস্টেই পড়ুন—‘যদি আইসিসি ২০২৪ সালের স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড দেয়, আমার পরামর্শ সেই মুহূর্তটিকে দেওয়ার, যখন সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী ও শামীম হোসেনের রানের জন্য দৌড় থামিয়ে দিয়েছেন এটা বুঝতে পেরে যে, আউটফিল্ড ক্যাচ নিতে গিয়ে ওবেদ ম্যাকয় আঘাত পেয়েছেন।’

ঘটনাটি ছিল গতকাল সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৪তম ওভারের। গুড়াকেশ মোতির করা ওভারের প্রথম বল টেনে মিড উইকেট বাউন্ডারির দিকে পাঠান জাকের। সীমানার দিকে যাওয়া বলটি ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাকয়, তবে নিতে পারেননি। উল্টো হাতে আঘাত পান।

এ দিকে জাকের ও শামীম দৌড়ে রান নিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় রান নিতে নিতে বুঝতে পারেন ম্যাকয় আঘাত পাওয়াতেই বল তুলে ফেরত পাঠাতে পারছেন না। বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

জাকের-শামীমের এই ঘটনাকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘গ্রেট স্পোর্টসম্যানশিপ’ বলে আখ্যা দেন বিশপ। পরে ম্যাচ শেষ হলে এক্সে এটিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ডের জন্যও সুপারিশ করেন।

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’। ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ সমুন্নত রাখার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দল বা ঘটনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ, প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ও দল, আম্পায়ারের ভূমিকা, ক্রিকেটের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে: বন্যা আতঙ্কে স্থানীয়রা

জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দিতে বললেন বিশপ

আপডেট সময় ০১:১১:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

জাকের-শামীমকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দিতে বললেন ইয়ান বিশপ। বিশপ মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন তাৎক্ষণিকভাবেই, ধারাভাষ্যকক্ষে বসে। তবে ঘটনাটায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার এতটাই অভিভূত যে, পরে আঙুল চেপেছেন কি-বোর্ডেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মাধ্যমে আইসিসির কাছে করেছেন সুপারিশ। বলেছেন, ২০২৪ সালের ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কারটা জাকের আলী ও শামীম হোসেনকেই দেওয়া হোক।

কেন দেওয়া হোক, সেটা বিশপের পোস্টেই পড়ুন—‘যদি আইসিসি ২০২৪ সালের স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড দেয়, আমার পরামর্শ সেই মুহূর্তটিকে দেওয়ার, যখন সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জাকের আলী ও শামীম হোসেনের রানের জন্য দৌড় থামিয়ে দিয়েছেন এটা বুঝতে পেরে যে, আউটফিল্ড ক্যাচ নিতে গিয়ে ওবেদ ম্যাকয় আঘাত পেয়েছেন।’

ঘটনাটি ছিল গতকাল সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইনিংসের ১৪তম ওভারের। গুড়াকেশ মোতির করা ওভারের প্রথম বল টেনে মিড উইকেট বাউন্ডারির দিকে পাঠান জাকের। সীমানার দিকে যাওয়া বলটি ডাইভ দিয়ে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাকয়, তবে নিতে পারেননি। উল্টো হাতে আঘাত পান।

এ দিকে জাকের ও শামীম দৌড়ে রান নিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় রান নিতে নিতে বুঝতে পারেন ম্যাকয় আঘাত পাওয়াতেই বল তুলে ফেরত পাঠাতে পারছেন না। বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় রান নেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

জাকের-শামীমের এই ঘটনাকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘গ্রেট স্পোর্টসম্যানশিপ’ বলে আখ্যা দেন বিশপ। পরে ম্যাচ শেষ হলে এক্সে এটিকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ অ্যাওয়ার্ডের জন্যও সুপারিশ করেন।

ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার দিয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি ‘আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট’। ‘স্পিরিট অব দ্য গেম’ সমুন্নত রাখার জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দল বা ঘটনাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ, প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ও দল, আম্পায়ারের ভূমিকা, ক্রিকেটের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়।