ইসরাইল যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুন করে কোনো শর্ত আরোপ না করলে তেল আবিবের সাথে বন্দিবিনিময় সম্ভব বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে ‘আন্তরিক ও ইতিবাচক’ বলেও মন্তব্য করেছে।
কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনার জন্য একটি ইসরাইলি প্রতিনিধিল দোহায় পৌঁছানোর একদিন পর মঙ্গলবার হামাস এক বিবৃতিতে তাদের এ অবস্থান ঘোষণা করেছে। এদিকে, কাতারে অনুষ্ঠানরত যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে আজ (বুধবার) ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়া দোহা যাবেন বলে কোনো কোনো রিপোর্টে বলা হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ এবং সেখানে আটক পণবন্দিদের মুক্ত করার লক্ষ্যে গত কয়েক মাস ধরে পর্দার অন্তরালে যে আলোচনা চলছে, তাতে কাতারের পাশাপাশি মধ্যস্থতা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর। তবে গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত ১৩ মাসে এ সংক্রান্ত আর কোনো আলোচনা সফল হয়নি।
ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ গত সোমবার বলেছে, গত বছরের নভেম্বর মাসের পর গাজা থেকে পণবন্দিদের মুক্ত করার আলোচনা সফলতার এত কাছাকাছি আর কখনো আসেনি। একদিন গাজাভিত্তিক হামাসের একজন সিনিয়র নেতাও বলেছিলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায়’ যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা সফলতার কাছাকাছি রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অতীতের মতো এবারও আলোচনাকে পণ্ড করে দিতে পারেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের ঐতিহাসিক আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর দিন ইসরাইল থেকে যে ২৫০ ইহুদিবাদী পণবন্দিকে ধরে আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনো ১০০ জনের মতো জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।