ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সীমান্তে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের অনুমতি পেল বিজিবি Logo মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের শুভেচ্ছা Logo হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশনা Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর Logo ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন আলী ইমাম মজুমদার Logo ‍মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা: কোটায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জনের ফল স্থগিত Logo আদালতে দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে পাঁচ মিনিট ধরে চিঠি লিখলেন দীপু মনি Logo সিরাজগঞ্জে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব ২০২৫ আয়োজন Logo অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র Logo সীমান্তে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ছোড়ার অনুমোদন পেল বিজিবি

সাদপন্থিদের নিয়ে বৈঠকে ৫ উপদেষ্টা

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের পর মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পর এই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ক ম খালিদ হোসেন উপস্থিত রয়েছেন। সাদ অনুসারী চারজন নেতা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্বে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরের অনুসারীরা (শুরায়ী নেজাম) আয়োজন করবেন। আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা আয়োজন করবেন।

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থিরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থিরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার পর মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এসময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের অনুমতি পেল বিজিবি

সাদপন্থিদের নিয়ে বৈঠকে ৫ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:৫০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের পর মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পর এই বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ক ম খালিদ হোসেন উপস্থিত রয়েছেন। সাদ অনুসারী চারজন নেতা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্বে আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাবলিগ জামাতের মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়েরের অনুসারীরা (শুরায়ী নেজাম) আয়োজন করবেন। আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা আয়োজন করবেন।

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।

বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থিরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থিরা।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার পর মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এসময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা। ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।