শুভমান গিল, বিরাট কোহলির পর শ্রেয়াস আইয়ার- ভারতের এই তিন ব্যাটার সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরি করলেও খুব কাছে গিয়ে আউট হন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাই আজ ব্যক্তিগত শতক পায়নি ভারত। তবে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ঠিকই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের পাহাড় জমা করেছে তারা। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো দলীয় সংগ্রহ তিন শ পার করে ৩৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
কোনো শতক ছাড়া এটিই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান। গিল ৯২, কোহলি ৮৮ ও আইয়ার আউট হন ৮২ করে। আজ ৮৮ রানের ইনিংস খেলার পথে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। এ নিয়ে ভিন্ন আট বছরে এমন অর্জন কোহলির।
ভেঙে দেন শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড। এই কিংবদন্তি হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ভিন্ন সাত বছরে। সঙ্গে কোহলি ছুঁয়ে ফেলেন কুমার সাঙ্গাকার করা ওয়ানডে ১১৮টি পঞ্চাশোর্ধ্বো রানের ইনিংস। ওপরে রইলেন কেবলি শচীন।
এই ইনিংসে লঙ্কান বোলার দিলশান মাদুশঙ্কা নিয়েছেন ৫ উইকেট। এতে চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেটের মালিক হয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুলশ মেন্ডিসের টস জিতে ভারতকে পাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বিস্মিত করে অনেককে। ওয়াংখেড়েতে পাওয়া ব্যাটারদের সুবিধা কাজে লাগাতে রোহিত শর্মা নিজেও চেয়েছিলেন ব্যাটিং করতে। ইনিংসের প্রথম বলে মাদুশঙ্কাকে দারুণ এক চারে বড় রানের আভাস দেন রোহিত। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই বোল্ড মুম্বাইয়ের ঘরের ছেলে।
এরপর ব্যাট হাতে শাসন কোহলি-গিলের। শুরুতে দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন দুজন। দুজনই অর্ধশতক করে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিক। তবে মাদুশঙ্কা লঙ্কানদের ত্রাতা হয়ে আসেন। ১৮৯ রানের জুটি ভেঙে ফেরান গিলকে। ৯২ বলে ৯২ রানের ইনিংস ১১টি চার ও ২টি ছয় মারেন গিল। ইনিংসের শুরুর দিকে একবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
গিলের মতো জীবন পেয়েছিলেন কোহলিও। পরে মাদুশঙ্কার শিকার হন ৮৮ করে। ৯৪ বলের ইনিংসে কোনো ছয় না থাকেলও ১১টি চার মারেন এই ডানহাতি ব্যাটার। থিতু হওয়া দুই ব্যাটার আউট হলে হাল ধরেন আইয়ার। লোকেশ রাহুল ও সূর্য্যকুমার যাদবের সঙ্গে ছোট ছোট দুটি জুটিতে নিজে করেন ৫৬ বলে ৮২ রান। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানে ৮ উইকেটে ৩৫৭ করে ভারত।