ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার Logo রাকসুর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ছাত্রদল নেতা আমানের ক্যাম্পাসে অবস্থান Logo বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ ১০০তম Logo পিআর আমি নিজেই বুঝি না: মির্জা ফখরুল Logo কাল হতে পারে ৪৯তম বিসিএস প্রিলির ফল

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশেই ছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বা তিনি পরে কীভাবে দেশের সীমান্ত অতিক্রম করলেন সে বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাখ্যা দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বিভিন্ন সময় ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী পরিষদের বিভিন্ন সদস্য মানুষকে গুম ও হত্যা ইত্যাদি করতে সরাসরি সাহায্য করেছেন। যারা এই গুমের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের তথ্য কমিশনের কাছে এসেছে এবং তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৮ নভেম্বর দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকালে ট্রাইব্যুনালে ফের হাজির করা হয় সাবেক মন্ত্রীসহ ১৬ জনকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগের ব্যাখ্যা চেয়েছে ট্রাইব্যুনাল

আপডেট সময় ০৮:১৫:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও ওবায়দুল কাদেরের দেশত্যাগ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে ওবায়দুল কাদের তিন মাস দেশেই ছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বা তিনি পরে কীভাবে দেশের সীমান্ত অতিক্রম করলেন সে বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাখ্যা দিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বিভিন্ন সময় ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রী পরিষদের বিভিন্ন সদস্য মানুষকে গুম ও হত্যা ইত্যাদি করতে সরাসরি সাহায্য করেছেন। যারা এই গুমের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের তথ্য কমিশনের কাছে এসেছে এবং তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৮ নভেম্বর দেওয়া তারিখ অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার সকালে ট্রাইব্যুনালে ফের হাজির করা হয় সাবেক মন্ত্রীসহ ১৬ জনকে।