ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ Logo জনপ্রতিনিধিরা শাসক নয় হবে খাদেম: সেলিম উদ্দিন Logo ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন সদস্য নেওয়া হবে’ Logo নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে সব ভোটকেন্দ্র Logo সরকারি খরচে বিদেশ সফর বন্ধ, কেনা যাবে না গাড়ি Logo ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে এক পয়সাও দুর্নীতি হবে না: শায়খে চরমোনাই Logo গাইবান্ধায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ১ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লা’ঠিচা’র্জে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থী আ’হ’ত Logo বন্যা পরিস্থিতি খাগড়াছড়ি: পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত Logo কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

বিজয় দিবসে বাগেরহাটে জামায়াতের জমকালো র‍্যালি ও পথসভা

বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকীতে বাগেরহাটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সদর উপজেলা ও শহর শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি এবং উদ্দীপনাময় পথসভার আয়োজন করা হয়। সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জেলা জামায়াত কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া র‍্যালিটি শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে দশানি ট্রাফিক মোড়ে এসে জমজমাট এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

র‍্যালিতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, জাতীয় পতাকা এবং বিজয় দিবসের বাণী সম্বলিত ফেস্টুন হাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। শহরজুড়ে ছিল উদ্দীপনার জোয়ার। ব্যস্ত সড়কে জনতার ঢল এবং স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে বিজয়ের চেতনা আরও উজ্জীবিত হয়।

দশানিতে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফেরদাউস আলী। এতে প্রধান অতিথির আসনে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই লক্ষ্য আজও অধরা। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে আবারও মুক্তিযুদ্ধের মতো চেতনায় কাজ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা জীবনপণ লড়াই করতে প্রস্তুত।”

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, কর্মপরিষদ সদস্য মুস্তাইন বিল্লাহ, মনজুরুল হক রাহাদ, তাজমুল হোসেন, শামীম আহসান এবং ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ।

র‍্যালির শুরুতে বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা বিজয়ের আনন্দ নিয়ে জমায়েত হন। ব্যানার, পতাকা এবং স্লোগানের সমারোহে র‍্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে ফিরে কর্মসূচি শেষ হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচি বাগেরহাটের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মানিকগঞ্জ -২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রকাশ

বিজয় দিবসে বাগেরহাটে জামায়াতের জমকালো র‍্যালি ও পথসভা

আপডেট সময় ০৭:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজয়ের ৫৪তম বার্ষিকীতে বাগেরহাটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সদর উপজেলা ও শহর শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি এবং উদ্দীপনাময় পথসভার আয়োজন করা হয়। সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জেলা জামায়াত কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া র‍্যালিটি শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ শেষে দশানি ট্রাফিক মোড়ে এসে জমজমাট এক পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

র‍্যালিতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, জাতীয় পতাকা এবং বিজয় দিবসের বাণী সম্বলিত ফেস্টুন হাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। শহরজুড়ে ছিল উদ্দীপনার জোয়ার। ব্যস্ত সড়কে জনতার ঢল এবং স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে বিজয়ের চেতনা আরও উজ্জীবিত হয়।

দশানিতে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফেরদাউস আলী। এতে প্রধান অতিথির আসনে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই লক্ষ্য আজও অধরা। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে আবারও মুক্তিযুদ্ধের মতো চেতনায় কাজ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতের কর্মীরা জীবনপণ লড়াই করতে প্রস্তুত।”

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, কর্মপরিষদ সদস্য মুস্তাইন বিল্লাহ, মনজুরুল হক রাহাদ, তাজমুল হোসেন, শামীম আহসান এবং ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ।

র‍্যালির শুরুতে বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে নেতাকর্মীরা বিজয়ের আনন্দ নিয়ে জমায়েত হন। ব্যানার, পতাকা এবং স্লোগানের সমারোহে র‍্যালি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা জামায়াত কার্যালয়ে ফিরে কর্মসূচি শেষ হয়।

বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই কর্মসূচি বাগেরহাটের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা।