ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন Logo ৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন Logo হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা Logo বাঁশখালীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo তীব্র গরমে বাগেরহাটের মাঠে হাহাকার’পান-সবজি-মাছ চাষে বিপর্যয় Logo ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার Logo ‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’ এখন পাকিস্তানপন্থি -রাশেদ খাঁন Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল Logo নাটোরে বিএনপি অফিসে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ১

আইনপেশায় ফিরলেন নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন

আইনপেশায় ফিরলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিবুর রহমান মোমেন। ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন নামেই বেশি পরিচিত।

চার ভাই দুই বোনের মধ্যে নাজিব মোমেন দ্বিতীয়। বড় ভাই ড. নাকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। দ্বিতীয় জমজ ভাই ডা. নাঈম খালেদ যুক্তরাজ্যে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই নাদিম তালহা তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বড় বোন ড. মহসিনা ফাতেমা মালেয়েশিয়া ও ছোটবোন খাদিজা তাহেরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

নাজিব মোমেন লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের জুনিয়র হিসেবে আইনপেশা শুরু করেন। ওই বছর তিনি জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই সময় থেকে ট্রাইব্যুনালে ও উচ্চ আদালতে জামায়াতের আইনজীবী টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

২০১৬ সালের ১০ মে মধ্যরাতে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় তার বাবা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এসময় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। এসময় দলীয় সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডে চলে যান নাজিব মোমেন। তখন থেকে ইংল্যান্ডের আদালতে আইন প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতে ভুমিকা পালন করেন। ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। উচ্চ আদালতে শুরু করেছেন আইনপেশা।

ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, বৈরী পরিবেশের কারণে ২০১৬ সালে চলে যেতে হয়েছিল। এ কারণে তখন আর প্র্যাকটিস করা হয়নি। দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডের হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেছি। ওখানকার কোর্টগুলোতে রেগুলার আমি শুনানি করতাম। দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে এসেছি। এখন থেকে দেশে থাকব। দেশের আদালতেই প্র্যাকটিস করব। এখানে নতুন নতুন লাগছে। অনেক কিছু শিখছি।

রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি তো আলাদা। আমরা ইসলামী আন্দোলন করি। গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে কিছু করার ইচ্ছে আছে ইনশায়াল্লাহ। ইসলামের খেদমতের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, আমরা যেহেতু আদর্শিক দল করি। এই দলে নিজেকে নিজের প্রার্থী ঘোষণা করার সুযোগ নেই। সংগঠন থেকে যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব।

তিনি বলেন, আমাদের যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা আছে। সেটা ইসলামী আন্দোলন। মুসলমান হিসেবে অবশ্যই ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। সে হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য কাজ করে যাব। মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন

আইনপেশায় ফিরলেন নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন

আপডেট সময় ০৩:৩৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আইনপেশায় ফিরলেন জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে নাজিবুর রহমান মোমেন। ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন নামেই বেশি পরিচিত।

চার ভাই দুই বোনের মধ্যে নাজিব মোমেন দ্বিতীয়। বড় ভাই ড. নাকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। দ্বিতীয় জমজ ভাই ডা. নাঈম খালেদ যুক্তরাজ্যে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। ছোট ভাই নাদিম তালহা তুরস্কের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বড় বোন ড. মহসিনা ফাতেমা মালেয়েশিয়া ও ছোটবোন খাদিজা তাহেরা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

নাজিব মোমেন লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রি নিয়ে ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের জুনিয়র হিসেবে আইনপেশা শুরু করেন। ওই বছর তিনি জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই সময় থেকে ট্রাইব্যুনালে ও উচ্চ আদালতে জামায়াতের আইনজীবী টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

২০১৬ সালের ১০ মে মধ্যরাতে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় তার বাবা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এসময় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো শুরু করে শেখ হাসিনার সরকার। এসময় দলীয় সিদ্ধান্তে ইংল্যান্ডে চলে যান নাজিব মোমেন। তখন থেকে ইংল্যান্ডের আদালতে আইন প্র্যাকটিস শুরু করেন এবং একইসঙ্গে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতে ভুমিকা পালন করেন। ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। উচ্চ আদালতে শুরু করেছেন আইনপেশা।

ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, বৈরী পরিবেশের কারণে ২০১৬ সালে চলে যেতে হয়েছিল। এ কারণে তখন আর প্র্যাকটিস করা হয়নি। দীর্ঘদিন ইংল্যান্ডের হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেছি। ওখানকার কোর্টগুলোতে রেগুলার আমি শুনানি করতাম। দীর্ঘ ৮ বছর পর দেশে এসেছি। এখন থেকে দেশে থাকব। দেশের আদালতেই প্র্যাকটিস করব। এখানে নতুন নতুন লাগছে। অনেক কিছু শিখছি।

রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি তো আলাদা। আমরা ইসলামী আন্দোলন করি। গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে কিছু করার ইচ্ছে আছে ইনশায়াল্লাহ। ইসলামের খেদমতের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, আমরা যেহেতু আদর্শিক দল করি। এই দলে নিজেকে নিজের প্রার্থী ঘোষণা করার সুযোগ নেই। সংগঠন থেকে যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব।

তিনি বলেন, আমাদের যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটা আছে। সেটা ইসলামী আন্দোলন। মুসলমান হিসেবে অবশ্যই ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। সে হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের জন্য কাজ করে যাব। মানুষের জন্য কাজ করে যাব।