ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ভারতে মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে আগে মাছ পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা বন্ধের খবর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তাড়াতাড়ি মাছ পাঠানোর অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ছিল। ওই সভা থেকে বাংলাদেশকে কিছু বার্তা দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, মাছের চাহিদা থাকায় ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে রপ্তানি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে চলমান কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক উত্তেজনা পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।
এদিকে, সোমবার ত্রিপুরার হোটেল মালিকদের একটি সভায় বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করেছিল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু এবং পতাকা অবমাননা। ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত বিক্ষোভ, বাংলাদেশি পতাকা পোড়ানো এবং আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার মতো ঘটনাগুলো সম্পর্ককে তিক্ত করেছে। যদিও এ হামলার ঘটনায় ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার ভূইয়া জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ ভারতে পাঠানো হচ্ছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততর করা হয়েছে।
মাছের বাণিজ্য চলমান থাকলেও, হোটেল ও চিকিৎসাসেবা বন্ধের মতো পদক্ষেপ দুই দেশের বাণিজ্যিক ও মানবিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। উত্তেজনা নিরসনে উভয় পক্ষের কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।