ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড় Logo সবার আগে ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া Logo মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা Logo ঈদে ফাঁকা ঢাকার সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, আহত এক হাজার ৬৭০ Logo প্রধান উপদেষ্টাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় Logo যমুনা সেতুতে চলতি বছর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড Logo আর্জেন্টিনার কাছে হারের জেরে দরিভালকে বরখাস্ত করল ব্রাজিল Logo দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন,সংস্কার আপনাদের কাজ না: আমীর খসরু Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, আহত ৭৩২ জন

কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মিরা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বুসরহাট জিরো পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়েত ইসলামী এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নোয়াখালী-৫ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ইয়াছিন আরাফাত।

সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা নির্মম ভাবে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যা হয়। এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এখন প্রতিহত করতে হবে। এ সময় বক্তারা সাত নেতাকর্মি হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আানার দাবি জানান এবং গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সাত শহীদকে স্বরণ করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুপ,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ইসমাঈল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জহির উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড়

কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ০৬:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জামায়াত শিবিরের সাত নেতাকর্মির খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মিরা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বুসরহাট জিরো পয়েন্টে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়েত ইসলামী এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও নোয়াখালী-৫ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারেফ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসিবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর ইসহাক খন্দকার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী ইয়াছিন আরাফাত।

সমাবেশে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা নির্মম ভাবে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যা হয়। এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে এখন প্রতিহত করতে হবে। এ সময় বক্তারা সাত নেতাকর্মি হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আানার দাবি জানান এবং গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সাত শহীদকে স্বরণ করেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দীন ফারুক, মাওলানা সাইয়েদ আহমদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আলমগীর মুহাম্মদ ইউছুপ,জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ইসমাঈল হোসেন মানিক, কবিরহাট উপজেলা জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম মিলন, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জহির উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হেদায়েত উল্যাহ মাসুদ প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে বসুরহাট বাজারের উপজেলা মসজিদ গেইটে জামায়াত-শিবিরের সাত নেতাকর্মিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মি সাইফুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।