ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝিনাইদহে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার(১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামের লালন বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

আহতরা হলেন হরিশপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২), আশান মন্ডলের ছেলে মন্টু মণ্ডল (৪৩), জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর বিশ্বাস (৪৬) ও পার্বতীপুর গ্রামের নুপুর মণ্ডলের ছেলে বাপ্পী হোসেন (৩২)। অন্যান্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদের মধ্যে আফাঙ্গীর বিশ্বাস জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের অনুসারী এবং অন্যরা সাবেক সাংসদ মসিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে আলামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রয়াত মসিউর রহমানের অনুসারীদের কর্মীসভা চলছিল। সেখানে তার ছেলে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. ইব্রাহিম রহমান উপস্থিত ছিলেন।

একই সময়ে পাশের জটারখালি বাজার এলাকায় সভা চলছিল জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের। সেখানে দলটির জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন এবং উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি দুই পক্ষের সভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এছাড়া বাবু সমর্থকদের সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু অভিযোগ করে বলেন, লালন বাজার এলাকায় তাদের কর্মীসভা চলছিল। তখন সেখানে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মজিদ সমর্থকরা। এসময় তাদের লোকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া তাদের সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে সভা করছিল প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আমি সেটি সামাল দিতে গেলে তারা আমার ওপর আক্রমণ করে।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে আমি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত ৫০

ঝিনাইদহে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

আপডেট সময় ০৮:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার(১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামের লালন বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

আহতরা হলেন হরিশপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে আলামিন হোসেন (৩২), আশান মন্ডলের ছেলে মন্টু মণ্ডল (৪৩), জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর বিশ্বাস (৪৬) ও পার্বতীপুর গ্রামের নুপুর মণ্ডলের ছেলে বাপ্পী হোসেন (৩২)। অন্যান্যদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদের মধ্যে আফাঙ্গীর বিশ্বাস জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের অনুসারী এবং অন্যরা সাবেক সাংসদ মসিউর রহমানের ছেলে ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে আলামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রয়াত মসিউর রহমানের অনুসারীদের কর্মীসভা চলছিল। সেখানে তার ছেলে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. ইব্রাহিম রহমান উপস্থিত ছিলেন।

একই সময়ে পাশের জটারখালি বাজার এলাকায় সভা চলছিল জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের। সেখানে দলটির জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন এবং উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি দুই পক্ষের সভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। এসময় উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এছাড়া বাবু সমর্থকদের সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ডা. ইব্রাহিম রহমান বাবু অভিযোগ করে বলেন, লালন বাজার এলাকায় তাদের কর্মীসভা চলছিল। তখন সেখানে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মজিদ সমর্থকরা। এসময় তাদের লোকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। এছাড়া তাদের সভাস্থলের মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আফাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে সভা করছিল প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে একটু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আমি সেটি সামাল দিতে গেলে তারা আমার ওপর আক্রমণ করে।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে সেখানে আমি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।