ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুষ্টিয়া গড়াই নদীর উপর শহীদ আবরার ফাহাদ সেতুর দাবীতে মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় Logo হঠাৎ ব্ল্যাকআউটের কবলে স্পেন, পর্তুগাল ও ফ্রান্স Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে সম্পত্তি বিরোধে স্বামীর লাশ দাফনে স্ত্রীর বাধা Logo ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত Logo নোয়াখালীতে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি Logo মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্যাডে স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে বিতর্ক Logo তা’মীরুল মিল্লাত ক্লাব কমিটি সেটাপ’২৫ সম্পন্ন Logo ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনি, কারাগারে ইমামের মৃত্যু Logo নোয়াখালী কলেজের উন্নয়ন ও সমস্যা দূরীকরণের পরিকল্পনা, শীঘ্রই বাস্তবায়নের আশ্বাস অধ্যক্ষের Logo আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন পাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম

টঙ্গীতে ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, সাদপন্থিদের গাড়ি ভাঙচুর

টঙ্গীতে ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, সাদপন্থিদের গাড়ি ভাঙচুর

ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ ও একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালিয়েছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা একটায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মন্নুগেট এলাকায় মাওলানা জুবায়েরের পাঁচ শতাধিক অনুসারী অবস্থান নেন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে জুবায়ের অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক ছেড়ে ইজতেমা ময়দানে চলে যান।

এ ঘটনায় সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাওলানা বসির (৫২) ও মাওলানা আতাউর (৫৪) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করেন কয়েক হাজার মুসল্লি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরে জোড় ইজতেমায় আয়োজনের অনুমতি চায় ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় দফায় জোড় ইজতেমার অনুমোতি দেওয়া হয়নি মাওলানা সাদ অনুসারীদের।

বৃহষ্পতিবার সকাল দশটার দিকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবির ইজতেমা আয়োজক কমিটির কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম অংশে যান। এতে বাধা দেন জুবায়ের অনুসারীরা। ময়দানে প্রবেশ করতে না পেরে সাদ অনুসারীরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় যান।

পরে পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় সাদ’পন্থীরা ময়দানের দিকে রওনা হলে আগে থেকেই লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করা জুবায়ের অনুসারীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মন্নুগেট এলাকায় সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেট কারে ভাঙচুর চালায়। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা সাদ অনুসারীদের দুইজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জুবায়েরপন্থী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাহফুজ হান্নান বলেন, “আজ তারা ইজতেমা ময়দানের বিদেশি মেহমানখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের ময়দানে জোড় ইজতেমা আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমাদের সাথীরা (জুবায়ের অনুসারী) তাদের প্রতিহত করে।”

মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম জানান, আগামী ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে জোড় ইজতেমা আয়োজন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমরা ময়দানে প্রবেশ করিনি। তারা আমাদের একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর করে দুজনকে আহত করেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশন অপরাধ (দক্ষিণ) মো. হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ২০১৮ সালে সাদপন্থীদের হামলার বিচারের দাবি জানায়। এ সময় তারা সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর করে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া গড়াই নদীর উপর শহীদ আবরার ফাহাদ সেতুর দাবীতে মানববন্ধন অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়

টঙ্গীতে ২ গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, সাদপন্থিদের গাড়ি ভাঙচুর

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ ও একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর চালিয়েছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা একটায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মন্নুগেট এলাকায় মাওলানা জুবায়েরের পাঁচ শতাধিক অনুসারী অবস্থান নেন।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে জুবায়ের অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক ছেড়ে ইজতেমা ময়দানে চলে যান।

এ ঘটনায় সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাওলানা বসির (৫২) ও মাওলানা আতাউর (৫৪) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা যায়, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করেন কয়েক হাজার মুসল্লি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরে জোড় ইজতেমায় আয়োজনের অনুমতি চায় ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় দফায় জোড় ইজতেমার অনুমোতি দেওয়া হয়নি মাওলানা সাদ অনুসারীদের।

বৃহষ্পতিবার সকাল দশটার দিকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবির ইজতেমা আয়োজক কমিটির কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম অংশে যান। এতে বাধা দেন জুবায়ের অনুসারীরা। ময়দানে প্রবেশ করতে না পেরে সাদ অনুসারীরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় যান।

পরে পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় সাদ’পন্থীরা ময়দানের দিকে রওনা হলে আগে থেকেই লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করা জুবায়ের অনুসারীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মন্নুগেট এলাকায় সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেট কারে ভাঙচুর চালায়। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা সাদ অনুসারীদের দুইজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জুবায়েরপন্থী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাহফুজ হান্নান বলেন, “আজ তারা ইজতেমা ময়দানের বিদেশি মেহমানখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের ময়দানে জোড় ইজতেমা আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমাদের সাথীরা (জুবায়ের অনুসারী) তাদের প্রতিহত করে।”

মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম জানান, আগামী ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে জোড় ইজতেমা আয়োজন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমরা ময়দানে প্রবেশ করিনি। তারা আমাদের একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর করে দুজনকে আহত করেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশন অপরাধ (দক্ষিণ) মো. হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ২০১৮ সালে সাদপন্থীদের হামলার বিচারের দাবি জানায়। এ সময় তারা সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর করে।