ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন Logo ৯০ দিনের জন্য ১১৫ শতাংশ শুল্ক কমাতে একমত যুক্তরাষ্ট্র ও চীন Logo হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা Logo বাঁশখালীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo তীব্র গরমে বাগেরহাটের মাঠে হাহাকার’পান-সবজি-মাছ চাষে বিপর্যয় Logo ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার Logo ‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’ এখন পাকিস্তানপন্থি -রাশেদ খাঁন Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল Logo নাটোরে বিএনপি অফিসে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ১

নাহিদের বক্তব্যকে ‘রাজনীতিবিরোধী’ বললেন মির্জা ফখরুল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 123

রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের যে বক্তব্যে দিয়েছেন, তা ‘রাজনীতিবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুক্তরাজ্যে দেড় সপ্তাহ সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জানি না, আসলে উনি কী উদ্দেশ্যে, কেন এটা বলেছেন। কিন্তু ওনার এই বক্তব্য রাজনীতিবিরোধী বক্তব্য এবং আমি আশা করি না যে তারা এ ধরনের বক্তব্য রাখবেন। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো সব সময়ই এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করেছে। এবং এই সমর্থনের একটা উদ্দেশ্য আছে, সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সেটার জন্যই আমরা কাজ করছি ১৫ বছর ধরে। আমরা সংগ্রাম, লড়াই করেছি, এটা উনি কী উদ্দেশ্য, কেন বলেছেন, আমি জানি না।’

বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি সামনে রেখে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সংকট, সেটির সমাধান কীভাবে হবে, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকটের সমাধান হবে। এগোচ্ছে তো।’

বিএনপি সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে, এমন আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তা নাকচ করে দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা দুই বছর আগে সংস্কারের কথা বলেছি, ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। তারও আগে ২০১৬ সালে আমরা ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলাম। এবং আমরা এখনো বলছি, ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে। এই জন্য যে বাংলাদেশে সব সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, এই সমস্যাগুলো নির্বাচিত সরকার ছাড়া সমাধান করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।’

লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) কাছ থেকে কী বার্তা নিয়ে এসেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বার্তা হচ্ছে, আপনারা সবাই ধৈর্য ধরবেন। একটা বিশাল বিজয় সূচিত হয়েছে জনগণের। এই বিজয়কে ফলপ্রসূ করতে হলে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রের যেটা প্রথম পদক্ষেপ, ফটক—সেই ফটক নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওনার যখন সুযোগ হবে, অর্থাৎ মামলা-মোকদ্দমাগুলো শেষ হবে, তখন চলে আসবেন।

১ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম লন্ডন যান। এই সফরে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও সঙ্গে ছিলেন। লন্ডনে অবস্থানকালে মির্জা ফখরুল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েক দফা একান্ত বৈঠক করেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও যুক্তরাজ্যের বাংলা গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: আরও ৪০ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিন

নাহিদের বক্তব্যকে ‘রাজনীতিবিরোধী’ বললেন মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০৩:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের যে বক্তব্যে দিয়েছেন, তা ‘রাজনীতিবিরোধী’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুক্তরাজ্যে দেড় সপ্তাহ সফর শেষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জানি না, আসলে উনি কী উদ্দেশ্যে, কেন এটা বলেছেন। কিন্তু ওনার এই বক্তব্য রাজনীতিবিরোধী বক্তব্য এবং আমি আশা করি না যে তারা এ ধরনের বক্তব্য রাখবেন। কারণ, রাজনৈতিক দলগুলো সব সময়ই এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করেছে। এবং এই সমর্থনের একটা উদ্দেশ্য আছে, সেটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সেটার জন্যই আমরা কাজ করছি ১৫ বছর ধরে। আমরা সংগ্রাম, লড়াই করেছি, এটা উনি কী উদ্দেশ্য, কেন বলেছেন, আমি জানি না।’

বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচি সামনে রেখে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সংকট, সেটির সমাধান কীভাবে হবে, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকটের সমাধান হবে। এগোচ্ছে তো।’

বিএনপি সংস্কারের চেয়ে নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছে, এমন আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তা নাকচ করে দেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা দুই বছর আগে সংস্কারের কথা বলেছি, ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। তারও আগে ২০১৬ সালে আমরা ভিশন ২০২৩ দিয়েছিলাম। এবং আমরা এখনো বলছি, ন্যূনতম সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে। এই জন্য যে বাংলাদেশে সব সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, এই সমস্যাগুলো নির্বাচিত সরকার ছাড়া সমাধান করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।’

লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) কাছ থেকে কী বার্তা নিয়ে এসেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বার্তা হচ্ছে, আপনারা সবাই ধৈর্য ধরবেন। একটা বিশাল বিজয় সূচিত হয়েছে জনগণের। এই বিজয়কে ফলপ্রসূ করতে হলে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রের যেটা প্রথম পদক্ষেপ, ফটক—সেই ফটক নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ওনার যখন সুযোগ হবে, অর্থাৎ মামলা-মোকদ্দমাগুলো শেষ হবে, তখন চলে আসবেন।

১ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম লন্ডন যান। এই সফরে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও সঙ্গে ছিলেন। লন্ডনে অবস্থানকালে মির্জা ফখরুল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কয়েক দফা একান্ত বৈঠক করেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও যুক্তরাজ্যের বাংলা গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করেন।