ঢাকা ০২:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চে পুলিশের টিয়ারগ্যাস লাঠি চার্জ আহত অর্ধ শত Logo আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল নিশ্চিতের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেল অবরোধ Logo মুরাদনগরে মব লিঞ্চিং: যুবককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৩ Logo জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত চেয়ে আপিলের রায় ১ জুন Logo ওয়েবসাইট–ফেসবুক–ইউটিউবসহ আ. লীগ–অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি Logo ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপিয়ে সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস Logo চট্টগ্রাম বন্দর নেপাল-ভুটান, সেভেন সিস্টার্সের হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা Logo আ’মী লীগ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় জবাব দিলেন প্রেস সচিব Logo জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিলের শুনানি চলছে Logo আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার-৩

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থী(২১) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গণধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মেহেদী মাসুদ (২৬), চক রামচন্দ্রপুর এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান সাজিদ (২৩) ও ও শালগাড়িয়া ফরেস্টপাড়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৭)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী। ২০২২ সালে কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের চাপে মেহেদী অন্যত্র বিয়ে করায় ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

এমন অবস্থায় গত সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে তার সাবেক প্রেমিক মেহেদী হাসান চা খাওয়ার নাম করে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এরপর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহরের মেরিল বাইপাসের ফরেস্ট এলাকায় নিয়ে যায়৷ পরে পরিকল্পিতভাবে ফরেস্টের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে তিনজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মেয়েটিকে তারা একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে ওই ছাত্রী।

পাবনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, ’এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নম্বর ২৪। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ‘

তিনি আরো জানান, ‘বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লং মার্চে পুলিশের টিয়ারগ্যাস লাঠি চার্জ আহত অর্ধ শত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার-৩

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থী(২১) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গণধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা সদর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মেহেদী মাসুদ (২৬), চক রামচন্দ্রপুর এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান সাজিদ (২৩) ও ও শালগাড়িয়া ফরেস্টপাড়া এলাকার জমির উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (২৭)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী। ২০২২ সালে কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের চাপে মেহেদী অন্যত্র বিয়ে করায় ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

এমন অবস্থায় গত সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে তার সাবেক প্রেমিক মেহেদী হাসান চা খাওয়ার নাম করে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। এরপর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে শহরের মেরিল বাইপাসের ফরেস্ট এলাকায় নিয়ে যায়৷ পরে পরিকল্পিতভাবে ফরেস্টের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে তিনজন মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মেয়েটিকে তারা একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে ওই ছাত্রী।

পাবনা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা জানান, ’এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নম্বর ২৪। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ‘

তিনি আরো জানান, ‘বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’