ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই প্রদর্শনীর উদ্বোধন

চব্বিশের আন্দোলন সকল দলমত নির্বিশেষে ছাত্রজনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব: শিবির সভাপতি

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০২:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 37

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, “শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্তদের আত্মত্যাগে সূচনা হয়েছিল চব্বিশের ফ্যাসিবাদকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করার সংগ্রামের। চব্বিশের আন্দোলন ছিল সকল দলমত নির্বিশেষে ছাত্রজনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব, যেখানে কোনো একক দলের নয়, বরং পুরো জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, একটি অপশক্তি সেই বিপ্লবকে প্রতিবিপ্লবে পরিণত করার চক্রান্তে লিপ্ত। শহীদদের সেই ত্যাগ এবং আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের আত্মত্যাগকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে যেন অনেকেরই দ্বিধা রয়েছে। যে আন্দোলনে মা তার সন্তানকে শহীদ করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, সেই চেতনা আজ অনেকেই ধারণ করতে পারছে না। বিপ্লব-উত্তর এই বাস্তবতায় সেই আত্মত্যাগের স্পিরিটকে ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

জাতীয় চেতনায় এই জুলাইকে চিরভাস্বর রাখার দায়িত্ববোধ থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজন করেছে ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি ৭ ও ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বেলা ১১.৪৫ মিনিটে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে চব্বিশের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য প্রদান করেন শহীদ আদিলের পিতা আবুল কালাম, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হেলাল উদ্দিন এবং আন্দোলন চলাকালীন গ্রেফতার হওয়া আলোচিত হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ।

দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন,  “১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত আমাদের এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলায়, সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ব্রিটিশসহ একটি আদিপত্যবাদী শক্তি। তারা এখনও আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের নীলনকশা করেই যাচ্ছে।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ। মত প্রকাশের সুযোগ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যখন আমরা, বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই জুলুম, নির্যাতন এবং নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছি।”

তিনি ছত্রিশে জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সকল মহলে উদাত্ত আহ্বান জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১১ বছর পর দেশে ফিরলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই প্রদর্শনীর উদ্বোধন

চব্বিশের আন্দোলন সকল দলমত নির্বিশেষে ছাত্রজনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব: শিবির সভাপতি

আপডেট সময় ০২:১৭:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, “শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ওয়াসিম, শান্তদের আত্মত্যাগে সূচনা হয়েছিল চব্বিশের ফ্যাসিবাদকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করার সংগ্রামের। চব্বিশের আন্দোলন ছিল সকল দলমত নির্বিশেষে ছাত্রজনতার এক অভূতপূর্ব বিপ্লব, যেখানে কোনো একক দলের নয়, বরং পুরো জাতির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, একটি অপশক্তি সেই বিপ্লবকে প্রতিবিপ্লবে পরিণত করার চক্রান্তে লিপ্ত। শহীদদের সেই ত্যাগ এবং আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের আত্মত্যাগকে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে যেন অনেকেরই দ্বিধা রয়েছে। যে আন্দোলনে মা তার সন্তানকে শহীদ করার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, সেই চেতনা আজ অনেকেই ধারণ করতে পারছে না। বিপ্লব-উত্তর এই বাস্তবতায় সেই আত্মত্যাগের স্পিরিটকে ধরে রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

জাতীয় চেতনায় এই জুলাইকে চিরভাস্বর রাখার দায়িত্ববোধ থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজন করেছে ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি ৭ ও ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বেলা ১১.৪৫ মিনিটে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে চব্বিশের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য প্রদান করেন শহীদ আদিলের পিতা আবুল কালাম, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হেলাল উদ্দিন এবং আন্দোলন চলাকালীন গ্রেফতার হওয়া আলোচিত হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ।

দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি আরও বলেন,  “১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত আমাদের এই উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলায়, সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল ব্রিটিশসহ একটি আদিপত্যবাদী শক্তি। তারা এখনও আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের নীলনকশা করেই যাচ্ছে।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ। মত প্রকাশের সুযোগ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। যখন আমরা, বিশেষ করে ইসলামী ছাত্রশিবির এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই জুলুম, নির্যাতন এবং নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছি।”

তিনি ছত্রিশে জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সকল মহলে উদাত্ত আহ্বান জানান।