ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

আ.লীগের শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

আ.লীগের শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন
পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান

দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে অপরাধ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ পাঁচ বছরে সারা দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ খুনের শিকার হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অপরাধ পরিসংখ্যানে এই তথ্য এসেছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৫৫৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই হিসাবটা এসেছে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা থেকে। সাধারণত জোড়া খুন বা একসঙ্গে ততোধিক খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরে গড়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৩১১টি। এমনকি করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালেও সাড়ে তিন হাজার খুনের ঘটনা ঘটেছে।

এই পাঁচ বছরে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ৯ হাজার ৯৫৫টি আর ডাকাতির মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, ছিনতাই ও ডাকাতির প্রকৃত ঘটনা অনেক বেশি হবে। কারণ, বেশির ভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা করেন না, অনেকে এটাকে আরেক ভোগান্তি মনে করেন। ডাকাতির ঘটনায়ও পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে মামলা নিতে চায় না। ডাকাতির মামলা চুরি

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

চার বাধায় রপ্তানিতে সর্বনাশ

তৈরি পোশাকের বাইরে সম্ভাবনা থাকার পরও আরও অনেক খাত বিকশিত হয়নি। নীতিগত সমস্যা, অর্থায়নে বাধা, অবকাঠামোর অভাব ও পোশাকবহির্ভূত রপ্তানিকারকদের দুর্বল দরকষাকষির ক্ষমতাকে বাধা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। ফলে দেশের পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের হিস্সা এখনো ৮১ শতাংশের বেশি। রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আলোচিত হলেও অগ্রগতি হয়েছে সামান্য। বাস্তবে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তৈরি পোশাক এখনো রপ্তানিতে আধিপত্য বজায় রেখেছে।

দেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ১১৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পোশাকবহির্ভূত পণ্যের রপ্তানি ৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬১১ কোটি ৭১ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। রপ্তানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শুধু নভেম্বরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আয় এসেছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার; যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, তৈরি পোশাকের চেয়ে অন্য খাতে প্রণোদনা কম হওয়ায় নতুন পণ্য রপ্তানি বিকশিত হচ্ছে না। বহুমুখীকরণে সব পণ্যের সহায়তা সমান হওয়া উচিত।

কালের কন্ঠ:

আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে লং মার্চ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আগরতলা অভিমুখে এই কর্মসূচি হতে পারে। ঢাকা থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গিয়ে লং মার্চ শেষ হবে।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে আজ নয়াপল্টনে তিন সংগঠনের বৈঠক রয়েছে।
কয়েক দিন ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অঙ্গদলের নেতাদের বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশটির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী তাঁর স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে দিলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন নেতাকর্মীরা।

নয়াদিগন্ত:

বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক উভয় পক্ষেরই চাওয়া উচিত

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই হবে ভারতীয় কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সাথে দেশটির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের অভিযোগ এবং সর্বশেষ সনাতন হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতারের জেরে সৃষ্ট সংঘর্ষ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের ফলে দুই দেশের নাগরিকদের একটি অংশ যুদ্ধংদেহী অবস্থায়। ভারতের উগ্রবাদী গোষ্ঠী আগরতলায় বাংলাদেশী সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরও করেছে। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ রকম একটি গোলমেলে পরিস্থিতিতেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আসছেন বাংলাদেশ সফরে। তার এই সফর সামনে রেখেইে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মন্তব্য দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকেই মনে করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যে বাংলাদেশে আসছেন এতে দু’দেশের সম্পর্কে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের এই সফরে কোন বিষয়টিকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটা স্পষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে সাধারণভাবে সব ইস্যু নিয়েই আলোচনা হবে। ভারতের সাথে তো আমাদের অনেক মেকানিজম আছে। তাদের সাথে আমাদের ট্রেড আছে, কানেকটিভিটি আছে, পানি আছে, বর্ডার আছে এগুলো অবশ্যই থাকবে। সুনির্দিষ্টভাবে এজেন্ডায় কী থাকবে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে। সাম্প্রতিক ইস্যু এর মধ্যে থাকবে। সংশ্লিষ্ট উইং এখনো এগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। উনি আমাদের পররাষ্ট্রসচিবের সাথে বৈঠক করা ছাড়াও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।’ গত বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, আমরা তাদের সাথে (ভারতের সাথে) সুসম্পর্ক চাই। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই এটা চাওয়া দরকার এবং এজন্য কাজ করা উচিত।’

কালবেলা:

মাঠ সাজাচ্ছে বিএনপি
দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দীর্ঘ এই সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে সাংগঠনিকভাবে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। এখন দল গোছানোর পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ভোটের মাঠ সাজাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাঝেমধ্যে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে শতাধিক আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দিতে চান তারেক রহমান। এরই মধ্যে বিভিন্ন আসনে তরুণ নেতাদের নির্বাচনের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে উপযুক্ত সময়ে তিনি প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, এবার সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর জন্য কিছু আসনে ছাড় দেবে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে সমমনা পাঁচটি দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে তাদের নির্বাচনী আসনে কাজে সহায়তার বিষয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয় বিএনপি। এদিকে, দল গোছানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূলের কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য ঢাকা ছাড়া ৯টি সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯ জন সিনিয়র নেতাকে। এ ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা এবং তারেক রহমানের ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা নিয়ে সারা দেশ সফর করছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সভাসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন দলের নেতারা। বিএনপি ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দিয়ে কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন।

যুগান্তর:

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান

বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি ভারতীয় গণমাধ্যমে
ভুল তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে ভারত। দেশটির গণমাধ্যম বাংলাদেশবিরোধী একের পর এক ভুয়া খবর প্রচার করছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির-প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট, পাকিস্তানি জাহাজে অস্ত্র আমদানি, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীকে হত্যা, ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হওয়াসহ ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ভুয়া খবর প্রচার করা হয়েছে। এসব তথ্য উঠে এসেছে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে।

তারা বলছে, ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের গণমাধ্যমে অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর পাওয়া গেছে। এসব খবরের মধ্যে ৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যমের নাম উঠে এসেছে। রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক ৫টি গুজব প্রচার করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ ও লাইভ মিন্ট অন্তত ৩টি করে গুজব প্রকাশ করেছে। এছাড়া, রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ এবং আজতক অন্তত ২টি করে গুজব প্রচার করেছে। বাকি ৪১টি গণমাধ্যম অন্তত একটি করে গুজব প্রচার করেছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে খোলা চিঠি দাবি করে তা প্রচার করে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে রিউমর স্ক্যানারের তদন্তে পাওয়া যায় শেখ হাসিনা এমন চিঠি দেননি।

নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে এক ব্যক্তির মানববন্ধনের ভিডিও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে ওই ব্যক্তিকে হিন্দু দাবি করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ব্যক্তি আসলে মুসলিম এবং তার নাম বাবুল হাওলাদার। যিনি ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া ছেলের সন্ধানে মানববন্ধন করেছিলেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট খালি হাতে ফিরছেন ক্রেতারা
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছয় দোকান ঘুরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন সগির আহমেদ। তাও গায়ের দাম ৮১৮ টাকায় পাননি। পরিচিত দোকানি বলে ১২ টাকা বেশি দিয়ে পেয়েছেন। তেজতুরি বাজারের এ বাসিন্দা বলেন, যেখানেই যাই, তেল নাই। থাকলেও সংকটের অজুহাতে ২০ টাকা বেশি চাচ্ছেন। মিরপুরের মুসলিম বাজারে পাঁচটি মুদি দোকান ঘুরে দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পেরেছেন সত্তরোর্ধ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন। তাও গায়ের দামের চেয়ে ৬ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছেন ৩৪০ টাকায়। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সয়াবিন তেলের জন্য দোকানে দোকানে ঘুরতে হলো। বাজারে তেল নাই, এটা তো বাসায় বোঝে না। যেভাবেই হোক তেল নিতে হবে। তেল না থাকলে রান্না হবে না। পরিচিত দোকানেও তেল পেলাম না।

গতকাল শুক্রবার সকালে যারা বাজারে গেছেন ভোজ্যতেল না পেয়ে তাদের অনেকেই হতাশ। অনেকে খালি হাতেই ফিরছেন বাসায়। হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে মিলছে দু’একটি কোম্পানির সয়াবিন তেল। সেখানেও হাঁকানো হচ্ছে বাড়তি দাম। মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। একই অবস্থা ঢাকার অন্য খুচরা বাজারগুলোতেও। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কম। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট সবচেয়ে বেশি। ফলে বিক্রেতারা পর্যাপ্ত তেল পাচ্ছেন না। কোনো কোনো বিক্রেতার অভিযোগ, রমজান মাস শুরুর আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আরও এক দফা দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করে নিতে চাইছে কোম্পানিগুলো। মিরপুর ১২ নম্বরে মুসলিম বাজারের ৫-৬টি মুদি দোকান ঘুরেও মেলেনি সয়াবিন তেল। আলিমুদ্দিন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, কোম্পানি দাম বাড়াবে, এখন সরবরাহ বন্ধ। দু-তিনদিন ধরে কোনো সয়াবিন তেল বাজারে ঢুকছে না।

দেশরুপান্তর:

দুই মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঐক্য
আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ৩০টি ছাত্র সংগঠন। গতকাল বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা মোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সভা হয়।

ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কথা জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিয়ে একটি প্রজন্মের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। আজকের (গতকালের) মিটিংয়ে আমরা একমত হয়েছি, জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) সারা দেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হয়ে যাক। কারণ মার্চে রোজা।’

মানবজমিন:

চাপ দিচ্ছি না, কিন্তু সংস্কারের নামে যেন কালক্ষেপণ না হয়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে সংস্কারের জন্য  আমরা সরকারকে সময় দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দেবো। তবে মৌলিক সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। ২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। তবে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। পরাজিত শক্তি এখনো বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গতকাল সকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে মহানগরী জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ তাদের সে পাতা ফাঁদে পায় দেয়নি। দেশের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। সবার পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশি। কুমিল্লা নামে বিভাগ না দেয়ায় বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নামের কারণে বিভাগ না দিয়ে একটি জেলার মানুষের প্রতি জুলুম করা হয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি মাটির প্রতি অবজ্ঞাকারী কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি কুমিল্লা নামে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ ছাড়াও কুমিল্লা বিমানবন্দর সচলের যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন ও সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, চাকসুর সাবেক ভিপি এডভোকেট জসীমউদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মু. আবদুর রব, মোবারক হোসেন প্রমুখ।
শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ড. আবরার আহম্মদ। সমাবেশের উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাছুম মিয়ার পিতা শাহীর মিয়া। দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত সমাবেশ উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালায় জামায়াত। দলীয় আমীরকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো নগরী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ও ৬টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

আ.লীগের শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন

আপডেট সময় ০৭:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

আ.লীগের শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারের বেশি খুন
পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান

দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে অপরাধ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ পাঁচ বছরে সারা দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ খুনের শিকার হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৯টির বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অপরাধ পরিসংখ্যানে এই তথ্য এসেছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।

পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৫৫৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই হিসাবটা এসেছে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা থেকে। সাধারণত জোড়া খুন বা একসঙ্গে ততোধিক খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরে গড়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৩ হাজার ৩১১টি। এমনকি করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালেও সাড়ে তিন হাজার খুনের ঘটনা ঘটেছে।

এই পাঁচ বছরে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ৯ হাজার ৯৫৫টি আর ডাকাতির মামলা হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, ছিনতাই ও ডাকাতির প্রকৃত ঘটনা অনেক বেশি হবে। কারণ, বেশির ভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলা করেন না, অনেকে এটাকে আরেক ভোগান্তি মনে করেন। ডাকাতির ঘটনায়ও পুলিশ অনেক ক্ষেত্রে মামলা নিতে চায় না। ডাকাতির মামলা চুরি

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

চার বাধায় রপ্তানিতে সর্বনাশ

তৈরি পোশাকের বাইরে সম্ভাবনা থাকার পরও আরও অনেক খাত বিকশিত হয়নি। নীতিগত সমস্যা, অর্থায়নে বাধা, অবকাঠামোর অভাব ও পোশাকবহির্ভূত রপ্তানিকারকদের দুর্বল দরকষাকষির ক্ষমতাকে বাধা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। ফলে দেশের পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের হিস্সা এখনো ৮১ শতাংশের বেশি। রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে আলোচিত হলেও অগ্রগতি হয়েছে সামান্য। বাস্তবে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তৈরি পোশাক এখনো রপ্তানিতে আধিপত্য বজায় রেখেছে।

দেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ১১৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পোশাকবহির্ভূত পণ্যের রপ্তানি ৮১ কোটি ১০ লাখ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৬১১ কোটি ৭১ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। রপ্তানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শুধু নভেম্বরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই মাসে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আয় এসেছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার; যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, তৈরি পোশাকের চেয়ে অন্য খাতে প্রণোদনা কম হওয়ায় নতুন পণ্য রপ্তানি বিকশিত হচ্ছে না। বহুমুখীকরণে সব পণ্যের সহায়তা সমান হওয়া উচিত।

কালের কন্ঠ:

আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে লং মার্চ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আগরতলা অভিমুখে এই কর্মসূচি হতে পারে। ঢাকা থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গিয়ে লং মার্চ শেষ হবে।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে আজ নয়াপল্টনে তিন সংগঠনের বৈঠক রয়েছে।
কয়েক দিন ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অঙ্গদলের নেতাদের বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশটির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী তাঁর স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে দিলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন নেতাকর্মীরা।

নয়াদিগন্ত:

বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক উভয় পক্ষেরই চাওয়া উচিত

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন তিনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই হবে ভারতীয় কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার প্রথম ঢাকা সফর।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সাথে দেশটির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের অভিযোগ এবং সর্বশেষ সনাতন হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতারের জেরে সৃষ্ট সংঘর্ষ পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের ফলে দুই দেশের নাগরিকদের একটি অংশ যুদ্ধংদেহী অবস্থায়। ভারতের উগ্রবাদী গোষ্ঠী আগরতলায় বাংলাদেশী সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরও করেছে। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ রকম একটি গোলমেলে পরিস্থিতিতেই ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আসছেন বাংলাদেশ সফরে। তার এই সফর সামনে রেখেইে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মন্তব্য দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেকেই মনে করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যে বাংলাদেশে আসছেন এতে দু’দেশের সম্পর্কে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের এই সফরে কোন বিষয়টিকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে পারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটা স্পষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে সাধারণভাবে সব ইস্যু নিয়েই আলোচনা হবে। ভারতের সাথে তো আমাদের অনেক মেকানিজম আছে। তাদের সাথে আমাদের ট্রেড আছে, কানেকটিভিটি আছে, পানি আছে, বর্ডার আছে এগুলো অবশ্যই থাকবে। সুনির্দিষ্টভাবে এজেন্ডায় কী থাকবে সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে। সাম্প্রতিক ইস্যু এর মধ্যে থাকবে। সংশ্লিষ্ট উইং এখনো এগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। উনি আমাদের পররাষ্ট্রসচিবের সাথে বৈঠক করা ছাড়াও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।’ গত বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে, আমরা তাদের সাথে (ভারতের সাথে) সুসম্পর্ক চাই। এক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই এটা চাওয়া দরকার এবং এজন্য কাজ করা উচিত।’

কালবেলা:

মাঠ সাজাচ্ছে বিএনপি
দেড় যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। দীর্ঘ এই সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে সাংগঠনিকভাবে বড় ধরনের বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। এখন দল গোছানোর পাশাপাশি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ভোটের মাঠ সাজাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাঝেমধ্যে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কেও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। আসন্ন নির্বাচনে শতাধিক আসনে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের প্রাধান্য দিতে চান তারেক রহমান। এরই মধ্যে বিভিন্ন আসনে তরুণ নেতাদের নির্বাচনের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে উপযুক্ত সময়ে তিনি প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, এবার সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর জন্য কিছু আসনে ছাড় দেবে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে সমমনা পাঁচটি দলের বেশ কয়েকজন নেতাকে তাদের নির্বাচনী আসনে কাজে সহায়তার বিষয়ে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয় বিএনপি। এদিকে, দল গোছানোর লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূলের কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য ঢাকা ছাড়া ৯টি সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৯ জন সিনিয়র নেতাকে। এ ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা এবং তারেক রহমানের ইতিবাচক রাজনীতির বার্তা নিয়ে সারা দেশ সফর করছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সভাসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন দলের নেতারা। বিএনপি ইতিবাচক কর্মকাণ্ড ও চিন্তাভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দিয়ে কৌশলে প্রচার চালাচ্ছেন।

যুগান্তর:

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান

বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি ভারতীয় গণমাধ্যমে
ভুল তথ্য ছড়িয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করছে ভারত। দেশটির গণমাধ্যম বাংলাদেশবিরোধী একের পর এক ভুয়া খবর প্রচার করছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির-প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট, পাকিস্তানি জাহাজে অস্ত্র আমদানি, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীকে হত্যা, ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হওয়াসহ ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ভুয়া খবর প্রচার করা হয়েছে। এসব তথ্য উঠে এসেছে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে।

তারা বলছে, ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের গণমাধ্যমে অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর পাওয়া গেছে। এসব খবরের মধ্যে ৪৯টি ভারতীয় গণমাধ্যমের নাম উঠে এসেছে। রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক ৫টি গুজব প্রচার করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ ও লাইভ মিন্ট অন্তত ৩টি করে গুজব প্রকাশ করেছে। এছাড়া, রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ এবং আজতক অন্তত ২টি করে গুজব প্রচার করেছে। বাকি ৪১টি গণমাধ্যম অন্তত একটি করে গুজব প্রচার করেছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি : শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে খোলা চিঠি দাবি করে তা প্রচার করে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে রিউমর স্ক্যানারের তদন্তে পাওয়া যায় শেখ হাসিনা এমন চিঠি দেননি।

নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে এক ব্যক্তির মানববন্ধনের ভিডিও ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে ওই ব্যক্তিকে হিন্দু দাবি করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ব্যক্তি আসলে মুসলিম এবং তার নাম বাবুল হাওলাদার। যিনি ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া ছেলের সন্ধানে মানববন্ধন করেছিলেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট খালি হাতে ফিরছেন ক্রেতারা
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছয় দোকান ঘুরে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন সগির আহমেদ। তাও গায়ের দাম ৮১৮ টাকায় পাননি। পরিচিত দোকানি বলে ১২ টাকা বেশি দিয়ে পেয়েছেন। তেজতুরি বাজারের এ বাসিন্দা বলেন, যেখানেই যাই, তেল নাই। থাকলেও সংকটের অজুহাতে ২০ টাকা বেশি চাচ্ছেন। মিরপুরের মুসলিম বাজারে পাঁচটি মুদি দোকান ঘুরে দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পেরেছেন সত্তরোর্ধ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন। তাও গায়ের দামের চেয়ে ৬ টাকা বেশি দিয়ে কিনেছেন ৩৪০ টাকায়। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সয়াবিন তেলের জন্য দোকানে দোকানে ঘুরতে হলো। বাজারে তেল নাই, এটা তো বাসায় বোঝে না। যেভাবেই হোক তেল নিতে হবে। তেল না থাকলে রান্না হবে না। পরিচিত দোকানেও তেল পেলাম না।

গতকাল শুক্রবার সকালে যারা বাজারে গেছেন ভোজ্যতেল না পেয়ে তাদের অনেকেই হতাশ। অনেকে খালি হাতেই ফিরছেন বাসায়। হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে মিলছে দু’একটি কোম্পানির সয়াবিন তেল। সেখানেও হাঁকানো হচ্ছে বাড়তি দাম। মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। একই অবস্থা ঢাকার অন্য খুচরা বাজারগুলোতেও। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কম। বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট সবচেয়ে বেশি। ফলে বিক্রেতারা পর্যাপ্ত তেল পাচ্ছেন না। কোনো কোনো বিক্রেতার অভিযোগ, রমজান মাস শুরুর আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আরও এক দফা দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করে নিতে চাইছে কোম্পানিগুলো। মিরপুর ১২ নম্বরে মুসলিম বাজারের ৫-৬টি মুদি দোকান ঘুরেও মেলেনি সয়াবিন তেল। আলিমুদ্দিন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, কোম্পানি দাম বাড়াবে, এখন সরবরাহ বন্ধ। দু-তিনদিন ধরে কোনো সয়াবিন তেল বাজারে ঢুকছে না।

দেশরুপান্তর:

দুই মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঐক্য
আগামী বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেশের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ৩০টি ছাত্র সংগঠন। গতকাল বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা মোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সভা হয়।

ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কথা জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি নিয়ে একটি প্রজন্মের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। আজকের (গতকালের) মিটিংয়ে আমরা একমত হয়েছি, জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ) সারা দেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শুরু হয়ে যাক। কারণ মার্চে রোজা।’

মানবজমিন:

চাপ দিচ্ছি না, কিন্তু সংস্কারের নামে যেন কালক্ষেপণ না হয়

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, প্রশাসনের সর্বস্তরে সংস্কারের জন্য  আমরা সরকারকে সময় দিয়েছি। প্রয়োজনে আরও দেবো। তবে মৌলিক সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। ২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে। তবে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে চাই না। পরাজিত শক্তি এখনো বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। গতকাল সকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে মহানগরী জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় মিডিয়ায় মিথ্যাচার চালিয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সমপ্রীতি বিনষ্ট করতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ তাদের সে পাতা ফাঁদে পায় দেয়নি। দেশের প্রশ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সে ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। সবার পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশি। কুমিল্লা নামে বিভাগ না দেয়ায় বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, নামের কারণে বিভাগ না দিয়ে একটি জেলার মানুষের প্রতি জুলুম করা হয়েছে। দেশের এক ইঞ্চি মাটির প্রতি অবজ্ঞাকারী কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি কুমিল্লা নামে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানান। এ ছাড়াও কুমিল্লা বিমানবন্দর সচলের যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগরী জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন ও সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, চাকসুর সাবেক ভিপি এডভোকেট জসীমউদ্দিন সরকার, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মু. আবদুর রব, মোবারক হোসেন প্রমুখ।
শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ড. আবরার আহম্মদ। সমাবেশের উদ্বোধন করেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাছুম মিয়ার পিতা শাহীর মিয়া। দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত সমাবেশ উপলক্ষে গত কয়েকদিন থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালায় জামায়াত। দলীয় আমীরকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো নগরী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই নগরীর ২৭টি ওয়ার্ড ও ৬টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।